কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করা হোক, ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা মন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করা হোক, ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা মন্ত্রীর

শিলিগুড়ি: বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ অব্যাহত মৃত্যু-মিছিল৷ মহামারীর জেরে দেশের আর্থিক পরীক্ষা ব্যবস্থা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ মৃত্যু, মহামারীর আবহের মাঝেও কিছুতেই কমছে না বাঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ৷ এবার বাংলায় করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের করোনা পরীক্ষা করার দাবি তুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ দিল্লি থেকে বাংলায় এসে কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে না তো? প্রশ্ন তুলে পর্যবেক্ষক দলকে আক্রমণ মন্ত্রীর৷ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে নমুনা পরীক্ষা করারও দাবি জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী৷

সংবাদমাধ্যমে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল, যারা এই রাজ্যে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ ফালতু ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ তাঁরা যে রাজ্যগুলি থেকে এসেছেন, সেই রাজ্যগুলি হচ্ছে ভাইরাসের আঁতুড়ঘর৷ আমি সম্মানীয় মুখ্যসচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তাঁকে অনুরোধ করব, যে কেন্দ্রের দলগুলি এসেছে, এঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হোক৷ এঁদের মুখের লালা রস পরীক্ষা করা হোক৷’’

বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর দাবি, ‘‘এই রাজ্যের একটা দল আছে, বিজেপি নামক৷ সেই দলটি তোল্লাই দিতে এসেছে এই দল৷ বাংলাকে হেয় প্রতিপন্ন করার করতে এসছে ওঁরা৷ ওঁদের এখনও পরীক্ষা করা হয়নি৷ ওঁদের সম্মানের কথা ভেবে এখনও পরীক্ষা করা হয়নি৷ আমার মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে ওরা ভাইরাস নিয়ে আসেনি তো? সারা উত্তরবঙ্গের ছড়ানোর জন্য, সারা ছড়ানোর জন্য?’’

অন্যদিকে আজও উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা৷ খতিয়ে দেখতে আজ রবিবারও পথে নামেন তাঁরা৷ খিদিরপুর, বেহালা ট্রাম ডিপো এলাকা পরিদর্শন করেন৷ সেখানে জনতার ভিড় দেখে মোবাইলে ছবি তুলে রাখেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা৷ হাওড়ার গোলাবাড়ি, সালকিয়া পরিদর্শন করেন তাঁরা৷ একই সঙ্গে শিলিগুড়িতেও পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা৷ নিউ চামটা চা বাগান পরিদর্শন করেন উত্তরবঙ্গে থাকা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক দল৷ রেশন ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেন তাঁরা৷ সেখানে পরিদর্শনের পর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিতে থাকেন তাঁরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 12 =