‘রেড’ জোনে কোন জেলা? কোথায় শিথিল লকডাউন? পড়ুন বিস্তারিত

‘রেড’ জোনে কোন জেলা? কোথায় শিথিল লকডাউন? পড়ুন বিস্তারিত

কলকাতা: রাজ্যে সংক্রমণের নিরিখে কোন কোন এলাকাকোন এলাকাগুলি কোন অবস্থানে আছে, কোথায় কত কনটেনমেন্ট জোন? এতদিন তা নিয়ে ঢাক ঢাক গুড়গুড় কম হয়নি৷ সোমবার সেই তালিকা সরকারি ভাবে প্রকাশ্যে এল৷

নবান্ন থেকে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সংক্রমনের নিরিখে সবথেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে চার জেলা৷ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর৷ এখানে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি৷ অরেঞ্জ জোনের মধ্যে রয়েছে ১১ জেলা৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, কালিম্পং,নদীয়া,জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং মুর্শিদাবাদ ও মালদহ৷ আপাতত সুরক্ষিত বা গ্রিন জোনের মধ্যে রয়েছে রাজ্যের ৮জেলা৷

এইসব জেলায় বিগত ২১ দিনে কোন সংক্রমনের খবর মেলেনি৷ এই তালিকায় রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম৷ জেলাওয়ারি কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে আছে রাজধানী কলকাতা৷ এখানে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২২৭৷ এর পরে আছে উত্তর ২৪ পরগণা। এখানে ১৭টি ব্লক ও পুরোসভা এলাকায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫৭৷ এর পরেই রয়েছে হাওড়া৷ জেলার গ্রামীণ ও শহর এলাকা মিলিয়ে এখানে ৫৬টি ব্লক ও ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে৷ করোনা সংক্রমের নিরিকে রেড জোনে আছে পূর্ব মেদিনীপুরও৷ ওই জেলায় ৮ পুরসভা এলাকা মিলিয়ে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা শতাধিক৷

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে সংক্রমণ মুক্ত থাকা এলাকা বা গ্রিন জোন গুলিতে লকডাউন বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে৷ কিছুটা বিপদমুক্ত বা অরেঞ্জ জোনগুলিতে লকডাউনে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে৷ তবে সংক্রমণের নিরিখে এখন সবথেকে শীর্ষে থাকা জায়গা বা রেড জোনগুলিতে কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হবে৷ সেখানকার বাসিন্দাদের একেবারেই বাড়ি থেকে না বের হতে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন৷ প্রশাসন তাদের খাবার দাবার এবং অন্যান্য আবশ্যকীয় পণ্যের জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করবে৷ ৭ দিন অন্তর অন্তর অবস্থা পর্যালোচনা করে ওইসব এলাকার চরিত্র পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ ২১ মে পর্যন্ত রাজ্যে এই ব্যবস্থায় চলবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + three =