কলকাতা: আগামী সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে চা, পান, বিড়ি, সিগারেটের দোকান খোলার ছাড়পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে বেশ কিছু দোকান খোলার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধরুন পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট দোকান৷ হট করে মানুষের প্রয়োজন হয়, সেখানে হোম ডেলিভারি হতে পারে৷ আমরা চাইছি ছোট ছোট দোকান খুলুক৷ তবে, মার্কেট কমপ্লেক্সগুলি খুলবে না৷ আমরা ছোট দোকান যেটা এখন সেরকম স্টেশনারি, বইয়ের দোকান, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, মোবাইল চার্জিংয়ের দোকান, ব্যাটারি চার্জিংয়ের দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান খোলা যাবে৷ চায়ের দোকান খোলা হবে, হোম ডেলিভারি চলবে৷ চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারা অ্যালাউ না৷ চায়ের দোকান থেকে চা কিনে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে খেতে পারে পানের৷ পানের দোকান থেকে পান সিগারেট কিনে নিয়ে বাড়িতে খেতে পারেন৷ কাজেই হকার মার্কেটগুলি এখন খুলবে না৷ হকার কর্নার কখন খুলবে না৷ ফুটপাতে যে সমস্ত দোকান বসে সেগুলি খোলার প্রশ্নও নেই৷ যে তখন ভয়ংকর জিনিস চলছে, সবাইকে একসঙ্গে আমি হেল্প করতে পারব না৷ ধাপে ধাপে ধাপে আমরা এটা করতে হবে৷’’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমবার থেকে গ্রিনজনে এলাকায় বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে৷ তবে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে স্থানীয় প্রশাসন৷ জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্রে ট্যাক্সি পরিষেবাও চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ শর্ত মেনে বেসরকারি বাস পরিষেবা চালানোর বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে, ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জেলার বাইরে বাস পরিষেবা চলবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ গ্রিনজনে শর্ত অনুযায়ী ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সকল করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে শর্তসাপেক্ষে বেশ কিছু দোকান খোলার ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে, গ্রিনজোনে দোকানপাট খোলা কথা ঘোষণা করা হলেও সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা বিধিমালা মেনে চলার বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সব সামাজিক প্রকল্প চলছে, সেগুলি যথাযথ ভাবেই চলবে৷ করোনার জেরে সাধারণ স্বাস্থ্য পরিষেবায় যাতে প্রভাব পড়বে না, তা নিশ্চিত করতে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির জন্য রাজ্য সরকার অ্যাডভাইজারি জারি করতে পারে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷