কলকাতা: রাজ্য সরকার নির্ধারিত মিডডে মিলের চাল ও আলু বিতরণের পাশপাশি বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে পড়ুয়াদের সাবান ও বিস্কুট দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার আমগাছিয়া লালবাহাদুর এফপি স্কুল। তার জেরেই শোকজ করা হয়েছে স্কুল পরিদর্শকের তরফে। এমনই অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। শোকজ প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনটি।
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে মিডডে মিলের চালু, আলু পড়ুয়াদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী স্কুলগুলির তরফে করা হয়েছিল পদক্ষেপও। তবে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে চাল, আলুর সঙ্গে বিস্কুট, সাবান দেওয়ার কথাও ভেবেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিষ্ণুপুর ১নং চক্রের আমগাছিয়া লালবাহাদুর এফপি স্কুল। নির্ধারিত সামগ্রীর বাইরে কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ সাবান ও বিস্কুট দিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে গত সপ্তাহেই বিষ্ণুপুর ১নং চক্রের স্কুল পরিদর্শক শোকজ করেন। সেই ঘটনার বিরোধিতা করেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এই মর্মে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানকে চিঠিও লিখেছে তারা। এই ঘটনার ফলে শিক্ষকসমাজকে অপমান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনের সম্পাদর ফজলুল হক৷
কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রভাবে যে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করেছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহু শিক্ষক নিজের এলাকায় সাধ্যমতো সাহায্যও করছেন। তার পরও যদি শোকজের মতো ঘটনার সম্মুখীন হন তাঁরা, তাহলে অসহায় মানুষের পাশে থাকার মানসিকতা নষ্ট হবে বলেই মনে করে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। তবে নির্ধারিত চাল, আলুর পাশাপাশি অন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানানোর পক্ষপাতি যে তারা নয়, সেই কথাও জানানো হয়েছে চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে না পারার জন্য এহেন শাস্তিকে মেনে নিতে পারছে না তারা। বরং আমগাছিয়া লালবাহাদুর এফপি স্কুল যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য বলেই মনে করে শিক্ষক সংগঠনটি। এই মর্মে অবিলম্বে শোকজ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।