জেনিভা: চিন থেকেই নোভেল করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু চিনেই দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে। এখন দেখা গিয়েছে, বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা চিনের থেকে কম।
রবিবার বিকেলে জেনিভায় সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নোভেল করোনা ভাইরাসে ১৪১ দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার মানুষ, প্রাণ গিয়েছে ৫ হাজার ৭২০ জনের। এরপর ইউরোপ সহ বিশ্বের অন্যান্য এলাকা থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর যেসব খবর এসেছে, তা সমন্বয় করে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, সোমবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৬৪০০।
এর মধ্যে চিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ জন। আর চিনের বাইরে ৮৬ হাজার। চিনে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩,২০৮ জনের। সোমবার চিনের বাইরে মৃত্যুর সংখ্যা ৩,২৪১ জন ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে হিসাব দিচ্ছেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এই হিসাব ঠিক থাকলে এই প্রথমবারের মত চিনের বাইরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা চিনের মূল ভূখণ্ডের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেল।
ইউরোপে ইতালির অবস্থা সব থেকে খারাপ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার ইতালিতে ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতালিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮০৯ জন। স্পেন মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। যার জেরে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা হল ২৮৮ জন। ফ্রান্সে মোট ১২০ জনের করোনা ভাইরাসের ফলে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জন। ব্রিটেন ভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, করোনাতে ইউরোপের এই চারটি দেশেই মৃতের সংখ্যা সব থেকে বেশি।
ফ্রান্স, সুইৎজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, লুক্সেমবার্গের সঙ্গে সীমান্ত করে দিয়েছে জার্মানি। পর্তুগাল স্পেনের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। চেক রিপাবলিক নাগরিকদের চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওষুধ ও খাবার কেনার মতো জরুরি কাজের পাশাপাশি চেক রিপাবলিকে একমাত্র পেশাগত কারণে নাগরিকরা ঘর থেকে বের হতে পারবেন।