নয়াদিল্লি: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা৷ করোনা ঠেকাতে ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফায় দীর্ঘ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে৷ দেওয়া হয়েছে কিছু ছাড়াও৷ ৪২ দিনের বন্দিভারতে নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনার তাণ্ডব৷ দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে মদের লাইনে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে মদ্যপদের ভিড়৷ চুলোয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব বিধি৷ আর তাতেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা৷ দীর্ঘ লকডাউনের সুফল কি এবার ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে মদের লাইনে মদ্যপদের ভিড়? করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই কেন খোলা হল মদের দোকান? প্রশ্ন তুলে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে অভিযোগ জানাল শিক্ষক সংগঠন৷
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে মদের দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছে, তাতে আমাদের ব্যথিত করেছে৷ এই নির্দেশের ফলে মদ কেনার জন্য মদের দোকানগুলিতে অনভিপ্রেত ভিড় জমছে৷ লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তা ঠেকাতে পুলিশ কার্যত ব্যার্থ৷ এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে৷ করোনা রুখতে সাধারণ জনতা যখন গৃহবন্দি থেকে সরকারকে সহযোগিতা করছেন, তখন করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত সামাজের জন্য ক্ষতি হতে পারে৷
শিক্ষক সংগঠনের দাবি, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবিলম্বে গোটা রাজ্যে মদের দোকান বন্ধ করা উচিত৷ করোনা সংক্রমণের আবহেও ঢালাও মদের কারবারে ছাড়পত্র আদতে বিপদ আরও বাড়াতে পারে৷ দীর্ঘ লকডাউনের সুফলও ব্যর্থ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শিক্ষক সংগঠন৷