কলকাতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে কলকাতার জোড়াসাঁকোয়, শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে এবং বাংলার আরও অনেক স্থানেই রবীন্দ্রনাথের লেখা গানে, কবিতায় ছন্দে ছন্দে আন্তরিকতার সঙ্গে পালিত হয় রবি ঠাকুরের জন্মদিন৷ কিন্তু করোনার ধাক্কায় এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কাটা৷ চলছে তৃতীয় দফায় লকডাউন৷ তাই এবার সবাই ঘরে বসেই সারবেন কবি প্রণাম৷ তাই ২৫ বৈশাখে রাজ্য সরকারও অনলাইনে কবি প্রণামের আয়োজন করল৷
আজ শুক্রবার ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন ক্যাথিড্রাল রোডের মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু মুখ্যমন্ত্রী কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবেন৷ সেখানে এবার শিল্পীরা কেউ উপস্থিত থাকবেন না৷ শিল্পীরা নিজেদের বাড়িতে বসেই গান গেয়ে কবির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সামিল হবেন। এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর৷ কলকাতার দশজন বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান সাজিয়েছে রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতর। অনলাইনে এই অনুষ্ঠান বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে রাজ্যবাসী দেখতে পাবেন৷
এদিকে ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রভারতীতে হচ্ছে না কোনও অনুষ্ঠান৷ ফলে দেখা যাবে না জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির প্রভাতী অনুষ্ঠান৷ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘বিগত বছরগুলো যেভাবে ২৫ শে বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়ে এসেছে এবছর সেভাবে অনুষ্ঠানের কোনো অবকাশ নেই। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশিকা রয়েছে তাকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তাই ঠিক হয়েছে কবিগুরুকে শুধুমাত্র মাল্যদান এর মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেগোনা কয়েকজন আলাদা আলাদা ভাবে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবেন।’
রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের অঙ্গ হল রবীন্দ্রসংগীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, রবীন্দ্রনাট্যাভিনয়, রবীন্দ্ররচনাপাঠ, আলোচনাসভার আয়োজন ও নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত ভবনগুলিতে এই সময় বিশেষ জনসমাগম দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রজয়ন্তীর প্রধান অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হয় কলকাতায় অবস্থিত কবির জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ও রবীন্দ্রসদন এবং শান্তিনিকেতনে। কিন্ত এবার করোনা প্রকোপে কলকাতার কোথাও সেভাবে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব হচ্ছে না৷ শুধু তাই নয় বিশ্বভারতীতেও সেভাবে পঁচিশে বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে না৷ তবে কিভাবে তা পালন করা হবে,সেই বিষয়টিও জানা যায়নি৷