কলকাতা: সল্টলেকের সিডি ব্লকে করোনা সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সল্টলেকের ওই এলাকা। একদিন আগেও যেখানে মদ বিক্রি নিয়ে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, এখন শুনশান। আতঙ্কে দিন গুনছেন এলাকার বাসিন্দা ও তাঁদের আত্মীয়রা। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত তারা।
সল্টলেক সিটি সেন্টার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, গত চারদিন ধরে মদের দোকানকে কেন্দ্র করে যেখানে ভিড় জমেছিল, সেই এলাকার মানুষ দিন কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। সল্টলেকের সিডি ব্লকে করোনার উপসর্গ দেখা গেছে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির শরীরে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সিডি ব্লক স্যানিটাইজ করার কাজও হয়েছে ইতিমধ্যে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে শহরের ১৭টি এলাকা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর তুলসী সিংহ রায় জানিয়েছেন, 'আমরা শুনলাম, ভদ্রলোক বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছেন। বৃহস্পতিবার সকালেই আমরা স্থানীয় এলাকা স্যানিটাইজ করেছি। আক্রান্তের বাড়ি সংলগ্ন বাসিন্দাদের সবরকমের সাহায্য করব আমরা।' তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের আত্মীয় পরিজনদের মধ্যেও। বিশেষত করোনার উপসর্গ যাঁর শরীরে লক্ষ্য করা গেছে, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করেছেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়তে জল্পনা চরমে পৌঁছেছে।
পাশের ব্লকের বাসিন্দা জুলি মল্লিক বলেন, 'আমরা এই খবর পেয়ে ভীষণ চিন্তার মধ্যে রয়েছি। আমার মা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির খুব কাছেই থাকেন। মা যে এলাকায় রয়েছেন, সেটিও কনটেনমেন্ট জোনের অধীনে পড়েছে। তাই মা-ও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।' বিধাননগর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিগগিরই নমুনা সংগ্রহ করার কর্মসূচি শুরু করছে। এমনিতেই কলকাতাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীর বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।