কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৩টি ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হল প্রশাসন৷ উত্তর কলকাতার অধিকাংশ ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ করোনা প্রভাবে বনগাঁ পুরসভার ৬টিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ বন্ধ করা হচ্ছে দোকান-বাজার৷
কলকাতা পুরসভার ১ থেকে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে একটি মাত্র ওয়ার্জ কনটেনমেন্টমুক্ত৷ প্রথম ৬৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে কনটেনমেন্ট জোন মুক্ত ৪১ নম্বর ওয়ার্ড৷ কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৬টি৷ করোনায় আক্রান্ত ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সাফাই কর্মী, খবর সূত্রের৷
কলকাতা পুরসভার ১৪৪টির মধ্যে ১৩৩টি ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ উত্তর কলকাতার অধিকাংশ ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে বিবেচিত হয়েছে৷ গত ৪ মেয়ের কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা ১১টি ওয়ার্ড নতুন করে কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে চলে এসেছে৷ জনঘনত্বের হিসাবে উত্তর কলকাতা বেশিরভাগ ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোন তালিকা চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ আর তার জেরে চিন্তা বাড়ছে বাংলার রাজধানীর বাসিন্দাদের মধ্যে৷
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার ছ’টি ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ১, ২, ৪, ১০, ১৩, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বাজার-দোকান৷ পুরসভার কর্মীরা প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের ৯ মে শেষ প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা৷ সেখানে ৯১১টি করোনা কেস ধরা পড়েছে কলকাতায়৷ এখনও পর্যন্ত ১৯৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ অন্য কারণে ৫২ জন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ৫৯৬ জনের শরীরে সক্রিয় করোনা৷ এরপর রয়েছে হাওড়া জেলা৷ সেখানে ৩৭০ জন আক্রান্ত বলে মেডিক্যাল বুলেটিনে প্রকাশ করা হয়েছে৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা৷ সেখানে করোনা আক্রান্ত ২৪৩ জন৷ হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১৫ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷