নয়াদিল্লি: আগামী ১৭ মে শেষ হচ্ছে তৃতীয় দফার লকডাউন৷ এর আগে পঞ্চমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথের মাঝে আজকের বৈঠক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই বৈঠকে অপ্রত্যাশিতভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে, বাংলার লকডাউন পরিস্থিতি বিবেচনা করতে আগামিকাল দুপুর তিনটে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর৷
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যগুলির সঙ্গে বিভেদমূলক রাজনীতি করছে কেন্দ্র৷ সাজানো স্ক্রিপ্ট দেখে কাজ করা হচ্ছে৷ রাজ্যগুলির মধ্যে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে৷’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেউ কখনও আমাদের মতামত জানতে চায় না৷’’ করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব৷ আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে না জানিয়ে কেন্দ্রের পরিদর্শক টিম পাঠানোর বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী৷ জল গড়ায় বহু দূর৷
এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য হিসাবে আমাদের সেরা টুকু দিয়ে লড়ছি। কেন্দ্র এই সংকটের পরিস্থিতিতে যেন রাজনীতি না করে।’’ রাজ্যের ভৌগলিক অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের চারপাশে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে৷ ফলে আমাদের অন্যান্য কিছু চ্যালেঞ্জেরও সামনা করতে হয়৷’’ তিনি বলেন, ‘'সমস্ত রাজ্যকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হোক। আমাদের উচিত সকলে একসঙ্গে মিলে ‘টিম ইন্ডিয়া’ হয়ে লড়াই করা। '’ এই বক্তব্যের পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা মাথায় রেখে যেন করোনার সংকটকালে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সমানভাবে মদত দেয়। সকলকে সমান সম্মান জানায়৷
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee takes part in the video conference with Chief Ministers over #COVID19 under the Chairmanship of Prime Minister Narendra Modi. pic.twitter.com/jQpUngWzQe
— ANI (@ANI) May 11, 2020
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee takes part in the video conference with Chief Ministers over #COVID19 under the Chairmanship of Prime Minister Narendra Modi. pic.twitter.com/jQpUngWzQe
— ANI (@ANI) May 11, 2020
অন্যদিকে, এদিকের বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও চর্চা হয়৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, যাঁরা যেখানে আছেনস সেখানেই থাক৷ কিন্তু মানুষ ঘরে ফিরতে চায়৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত বদল করেছি৷ তবে এর ফলে কোনও ভাবেই যেন রোগ ছড়িয়ে না পড়ে, সেই বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে৷ এটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷