ওয়াশিংটন: করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব৷ কিন্তু এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে গেলে প্রথমে জরুরি আতঙ্কিত না হওয়া৷ সঙ্গে জেনা নেওয়া প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি৷ আপনি জানানে কি, এই মুহূর্তে ৭ ধরনের করোনা ভাইরাস রয়েছে৷ যার মধ্যে‘কোভিড ১৯’ মৃত্যুহার অনেক কম৷ মাত্র ৩.৪ শতাংশের কাছাকাছি৷ ফলে, গেলগেল রব তোলার কোনও কারণ নেই৷ এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরছেন বহু মানুষ৷ কিন্তু, জানেন কি, কাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি?
তথ্য বলছে, যাঁদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি৷ কোনও ব্যক্তি যদি সুগার, প্রেসার, হার্ট কিংবা কিডনির অসুখে ভুগছেন, সেই সমস্ত রোগীর শরীরে এই ভাইরাস গেলে মৃত্যুঝুঁকি বেশি৷ হার্টের অসুখের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি৷ মৃত্যুহার ১০.৫ শতাংশের কাছাকাছি৷ সুগার রুগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার ৭.৩ শতাংশ৷ হাঁপানির রুগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার ৬.৩ শতাংশ৷ প্রেসারের রুগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার ৬ শতাংশ৷ ক্যান্সার রুগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার ৫.৬ শতাংশ৷ আগে থেকে কোনও রোগ না থাকলে মৃত্যুহার নামমাত্র৷ মৃত্যুহার ০.৯ শতাংশ৷ অর্থাৎ ১০০ জনে একজনও নয়৷
কেন বয়সে কত শতাংশ মৃত্যুহার? তথ্য বলছে মৃত্যুহার ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ০ শতাংশ৷ ১০ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে ০.২ শতাংশ৷ ২০ বছর থেকে ২৯ বছরের মধ্যে ০.২ শতাংশ৷ ৩০ বছর থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে ০.২ শতাংশ৷ ৪০ বছর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ০.৪ শতাংশ৷ ৫০ বছর থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে ১ শতাংশের একটু বেশি৷ ৬০ বছর থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ৷ ৭০ বছর থেকে ৭৯ বছর থেকে ৮ শতাংশ৷ ৮০ বছরের বেশি হলে ১৫ শতাংশ মৃত্যুহার দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়৷ এছাড়া হাঁপানি কিংবা ফুসফুস রুগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ হওয়ার ভয় বেশি৷ হাঁটলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ৪ শতাংশ কমে যাওয়া রুগীদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি৷
গোটা তথ্যটি পাওয়া গিয়েছে কনফেডারেশন অব মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনস অব এশিয়া অ্যান্ড ওশিয়ানিয়া এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে৷