কেন্দ্রের ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন মমতা

একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের কথা বলেছিলেন। বুধবার প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সেই প্যাকেজ ঘোষণাও করেছেন। তবে করোনা মোকাবিলা বা স্বাস্থ্য খাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? কিংবা এই সঙ্কটের সময় রাজ্যকেই বা কী দেওয়া হল? এমনই প্রশ্ন তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম প্যাকেজ ঘোষণাকে 'অশ্বডিম্ব' বলে ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

কলকাতা: একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের কথা বলেছিলেন। বুধবার প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সেই প্যাকেজ ঘোষণাও করেছেন। তবে করোনা মোকাবিলা বা স্বাস্থ্য খাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? কিংবা এই সঙ্কটের সময় রাজ্যকেই বা কী দেওয়া হল? এমনই প্রশ্ন তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম প্যাকেজ ঘোষণাকে 'অশ্বডিম্ব' বলে ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রীর প্রথম দফার ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজকে কটাক্ষ করলেন। তিনি বলেন, 'কালকে যে কথা বলা হয়েছিল, দেশবাসীর মনে আশা জেগেছিল। হয়তো বা রাজ্যগুলি কিছু পাবে। অসংগঠিত সেক্টর, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, কোভিড ১৯ ভাইরাস সংক্রান্ত, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বিষয়ে আমরা যেটা বলে এসেছিলাম, শেষ পর্যন্ত দেখছি অশ্বডিম্ব। মানে বিগ জিরো। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ইতিমধ্যেই বলেছেন, প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও সেগুলি কবে কার্যকরী হবে সেই বিষয়ে কেউই কিছু জানেন না।'

কিচ্ছু দেওয়া হয়নি রাজ্যকে। রাজ্যগুলিই বা চালাবে কীভাবে? তিনি আরও বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি যেগুলো দরকার, অসংগঠিত সেক্টর, এমএসএমই, কর্মসংস্থানের সুযোগ করা, করোনা মোকাবিলায় ব্যয় করা ইত্যাদি কিছুই নেই। জনসাধারণের জন্য কিছুই বলা হয়নি।' সাধারণ মানুষের এই দুর্দিনেও ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আপনাদের যদি একটা সহজ হিসেব দিই, বুঝতে পারবেন। আমরা বাংলায় ৯০ হাজার কোটি টাকা এমএসএমই-কে দিই। আর সারা ভারতবর্ষে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা এমনিতেই তারা পায়। সেটাকে কমিয়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকা করেছে।'

প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজকে জিডিপি-র ২ শতাংশ বলে আগেই মন্তব্য করেছেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জিডিপি-র ২ শতাংশও নয়, বরং জিডিপি-র শূন্য।' এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ধোঁকা না দিয়ে কেন্দ্র কৃষকদের ঋণ দিতে পারত কিংবা তাঁদের ঋণ মকুব করতে পারত বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 4 =