কলকাতা: দীর্ঘ লকডাউন- এর পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে চলেছে মহানগর। পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে বাস, অ্যাপ ক্যাবের পর সোমবার থেকে কলকাতার রাস্তায় নামবে হলুদ ট্যাক্সি। তবে গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও তার ভাড়া জনসাধারণের সাধ্যের মধ্যে থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগেই বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে বাসের ভাড়া। ট্যাক্সি মালিকদের সংগঠন শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে ট্যাক্সির ভাড়া বাড়তে চলেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। সেক্ষেত্রে গণপরিবহন চালু হলেও তাহার আদতে আমজনতার বাহন হবে কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
শহরে সোমবার থেকে ট্যাক্সি পরিবহনের কথা ঘোষণা করে বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল গুহ জানান, বৃহস্পতিবার পরিবহণ দফতের এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে তাতে বর্তমান ভাড়ার ওপর ৩০ শতাংশ ভাড়াবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শিলমোহর পড়েছে। দিন কয়েক আগেই কলকাতায় ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সঙ্গে জারি হয়েছে বেশ কয়েকটি শর্ত। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, চালক ছাড়া ২ জনের বেশি আরোগী ট্যাক্সিতে উঠতে পারবেন না। চালককে পরতে হবে মাস্ক ও গ্লাভস। ২ জন যাত্রীকেই বসতে হবে পিছনের আসনে।গত বুধবার নবান্নে বাসমালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাসের ভাড়াবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। জানা যায়, তিন গুণ বাড়তে চলেছে বাসের ন্যূনতম ভাড়া। ৬ টাকার ভাড়া বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা।
এবার ট্যাক্সির ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। কিন্তু ট্যাক্সির ভাড়া বৃদ্ধিতে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সরকার ট্যাক্সিমালিকদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করেছে বলে দাবি তাদের। সাধারণ মানুষের একাংশের প্রশ্ন, ‘বাসে যাত্রীপিছু ভাড়া নেওয়া হয়। ফলে সরকার ২০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে বাস চালানো যাবে না বলে জানানোয় ভাড়া বাড়ানো প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু ট্যাক্সি তো চলে মিটারে। তাতে ১ জন উঠলেও যে ভাড়া দিতে হয় ৩ জন উঠলেও একই দূরত্বে ভাড়া অপরিবর্তিত থাকে। তার ওপর সম্প্রতি তেলের দাম কমেছে। ফলে ট্যাক্সির ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিছকই রাজনৈতিক বলে দাবি তাদের।’