শিক্ষকদের বাড়ি থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহের ব্যবস্থা হোক, দাবি বিজেপি টিচার্স সেলের

করোনা পরিস্থিতি রুখতে লকডাউনের জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ। মাঝপথে বন্ধ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। করোনার জেরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খাতা জমা দেওয়ার নির্দেশকে কেন্দ্র করে। কোনও নির্দেশনামা ছাড়াই পরীক্ষকদের খাতা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন প্রধান পরীক্ষকরা, এই অভিযোগ তুলে করোনার এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনামা ছাড়াই পরীক্ষকদের উপর রাজ্য শিক্ষা দফতরের চাপ সৃষ্টি করার পাশাপাশি সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বিধি অমান্য করার অভিযোগ তুলল বিজেপি টিচার্স সেল।

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি রুখতে লকডাউনের জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ। মাঝপথে বন্ধ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। করোনার জেরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খাতা জমা দেওয়ার নির্দেশকে কেন্দ্র করে। কোনও নির্দেশনামা ছাড়াই পরীক্ষকদের খাতা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন প্রধান পরীক্ষকরা, এই অভিযোগ তুলে করোনার এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনামা ছাড়াই পরীক্ষকদের উপর রাজ্য শিক্ষা দফতরের চাপ সৃষ্টি করার পাশাপাশি সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বিধি অমান্য করার অভিযোগ তুলল বিজেপি টিচার্স সেল।

রোনা পরিস্থিতির জেরে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থার ওপর ভয়াবহ প্রভাবের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের। এমনকী, এই পরিস্থিতিতে রাজ্য যে পদক্ষেপ করেছে, তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও উঠেছে একাধিক অভিযোগ। এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়া নিয়ে বাঁধল গোল। যদিও শিক্ষা দফতরের তরফে লিখিত কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছে বিজেপি টিচার্স সেল। শুধুমাত্র মৌখিক নির্দেশের ওপর ভর করেই পরীক্ষকদের অবিলম্বে খাতা জমা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সংগঠনটি।

এমনকী, যে সমস্ত শিক্ষক খাতা দেখছেন, তাঁদের অবিলম্বে খাতা জমা দিতে বাধ্য করছেন প্রধান পরীক্ষকরা। এর ফলেই করোনা মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ অমান্য করছেন তাঁরা, এমনটাই মনে করছে শিক্ষক সংগঠনটি। যা এই সঙ্কটের পরিস্থিতিকে আরও জোরালো করছে বলেই জানিয়েছে তারা। সংগঠনের রাজ্য কনভেনার দিপল বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হেড এক্সামিনারের বাড়িতে শতাধিক পরীক্ষককে প্রতিদিন ফোনের  মাধ্যমে খাতা জমা দেওয়ার জন্য জোর করে ডাকা হচ্ছে। ফলে হেড এক্সামিনারের বাড়িতে শতাধিক পরীক্ষকের জমায়েত সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে কেন রাজ্যের শিক্ষাদফতর পরীক্ষকদের বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে খাতা নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করছে না?'

এছাড়াও কিছু কিছু পরীক্ষকের বাড়ি হেড এক্সামিনারের বাড়ি থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে। দিপল বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা বিজেপি টিচার্স সেলের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার থেকে এই ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। হেড এক্সামিনার বা তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষকদের কাছে গিয়ে খাতা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।'

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =