পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সতর্কতা হু’র

পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সতর্কতা হু’র

imagesmissing

জেনিভা: বিশ্ব জুড়ে করোনায় হু হু করে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আট দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে। বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দুই ‌লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিনের পরে করোনায় সব থেকে খারাপ অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকায়। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমেরিকায় ছয় হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে শতাধিকের। এত খারার অবস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নয়। তারপরেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সতর্ক করল হু। হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। চিন ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার হুর পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল জা‌নিয়েছে‌ন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন নতুন জায়গায় একসঙ্গে অনেক লোকের আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই ভাইরাস সংক্রমণের নজরদারির কাজ গুরুত্ব সহকারেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু এটাও ঠিক কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ হু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া হিসেবে ১১টি দেশকে চিহ্নিত করেছে। এই ১১টি দেশেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জা‌না গিয়েছে। এরমধ্যে থাইল্যা‌ন্ডে ১৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৪ জন, ভারতে ১৪৭ জন, শ্রীলঙ্কায় ১৯ জন, মালদ্বীপে ১৩ জন, বাংলাদেশে ১৪ জন, নেপালে ও ভুটানে  এক জন করে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানে ২৪৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। হু জানিয়েছে, এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাস ঠেকানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না। হু জানিয়েছে, মায়ানমার ও লাও-য়ে এখ‌নও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানে যেখানে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৯। বুধবার সকালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৯। পাকিস্তানে সিন্ধু প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ১৮১ জন। পাকিস্তানে করো‌না ভাইরাসে এখ‌নও পর্যন্ত এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানে সতর্কতা ও সচেতনতার অভাবেই করোনা ভাইরাস এত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন। সিন্ধু প্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছেন, করো‌না ভাইরাস ঠেকাতে ইমরান খা‌ন সরকারের প্রথম থেকে কঠোর হওয়া প্রয়োজন ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *