নার্স সঙ্কট মেটাতে ৭দিনের প্রশিক্ষণে ‘হেল্পার’ নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নার্স সঙ্কট মেটাতে ৭দিনের প্রশিক্ষণে ‘হেল্পার’ নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: করোনা আবহে বাংলার বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকে নার্সদের ইস্তফার হিড়িক পড়ে গিয়েছে৷ ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় কর্মরত প্রায় সাড়ে ৩০০ নার্স ইতিমধ্যেই চাকরি ছেড়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন৷ আর তার জেরে তৈরি হয়েছে চরম সমস্যা৷ বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নার্স সংকট মেটাতে এবার ৭ দিনের প্রশিক্ষণ ‘হেল্পার’ নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একদিকে ঘূর্ণিঝড়, অন্যদিকে করোনা, আবার বাইরে থেকে লোক আসছে, এরমধ্যে অনেক নার্সকে নিয়ে চলে যাচ্ছে শুনছি৷ আরে বেসরকারি নার্সিংহোম তো আমার রাজ্যের নার্সিংহোম৷ একটা নার্স তৈরি করতে দু’বছর সময় লাগে৷ একটা ডাক্তার তৈরি করতে ৪-৫ বছর সময় লাগে৷ একটা টেকনিশিয়ান তৈরি করতে করতে টাইম লাগে৷ সুতরাং আমরা একটা দেখতে পাচ্ছি, অনেক নার্সকে নিয়েছিল যা হয়েছে৷’’

বেসরকারি হাসপাতালে নার্স সংকট মেটাতে  ‘হেল্পার’ নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনানা, ‘‘এই সময়ে আমি রাজীব সিনা মুখ্যসচিবকে বলেছি, যাঁদের থেকে নার্স নেওয়া হচ্ছে, তাদের সঙ্গে কথা বলুন৷ অন্তত প্রাথমিক কাজগুলি করতে পারে, এমন কাউকে নিতে পারে, কিছু স্থানীয় লোকদের৷ লোকাল ছেলে-মেয়েদের ৭ দিনের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে, সার্জিকালের দিকে যাবে না৷ কিন্তু ন্যূনতম স্যালাইন দিতে পারা, এই এই কাজটা শিখিয়ে দেওয়া, অক্সিজেন দিতে পারে, ভেন্টিলেটার পারবে না এখনই৷ প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ দেওয়া, সময়ে সময়ে গায়ের তাপমাত্রা মাপা, এই যে কতগুলি, ছোটখাটো কাজ আছে৷ এটা কাজ নার্সদের ছাড়া হয় না৷ যাদের হাতে কিছুই নেই, তারা ৭ দিনের সময় নিয়ে একটা প্রশিক্ষণ দিয়ে, কিছু মেয়েদের, এদের নার্স বলা যাবে না, মেল হেল্পার, মহিলা হেল্পার, এভাবে যদি একটা কিছু ভাবেন, তাহলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই৷ দেখতে হবে, যাঁরা সার্জারিতে কাজ না করে৷ ছোট ছোট কাজ করবে, তাদের দেখিয়ে দেখিয়ে দিলে মনে হয় তারা পারবে৷  সাথে সাথে একটা মোবাইল অ্যাপ করে দিতে হবে৷ কী কী কাজ করতে হবে, কি করা উচিত, সেটা একটা ভিডিও থাকবে৷ অসুবিধা হলে দেখে নেমে, সিনিয়রদের জিজ্ঞাসা করবে৷ এই এমার্জেন্সি সিচুয়েশনে এমার্জেন্সি লাইফ৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *