কলকাতা: কোভিড-১৯ অতিমারি সংক্রান্ত সতর্কতামূলক নির্দেশাবলি প্রথম থেকেই দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাকেই অনুসরণ করে চলেছে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ। ভারতেও কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের তরফে কী করবেন, কী করবেন না তাঁর স্পষ্ট নির্দেশনামা জারি করা হয়েছে বারংবার।
টিভি, সংবাদপত্র সব জায়গায় বার বার দেখানো হচ্ছে সেই গাইডলাইন। কিন্তু আজকের দুনিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো একটা ‘ট্রেন্ড’। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই ভয়াবহ অতিমারির সময়েও তা কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে। এবং এদেশে ভুয়ো খবরের সবথেকে বেশি শিকার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ১৮ মার্চ থেকে ১৮ মে-র মধ্যে ১.৩ লক্ষ ভুয়ো অথবা বিভ্রান্তিকর পোস্ট চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুলিশ। এই সময়সীমায় ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ২৭০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯৯ জন ব্যক্তিকে।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, তারা ভুয়ো পোস্টের বহর দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন। অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করার পর জানা যায়, এমন ভুয়ো পোস্টের সংখ্যা অন্য কোনও রাজ্যে নেই। চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, অন্তত দু’ ডজন মামলায় নাম জড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির হেভিওয়েট নেতাদের। এঁদের মধ্যে আছেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং এবং সুভাষ সরকার।
এই ভুয়ো পোস্টগুলির মধ্যে অনেকগুলিই সাম্প্রদায়িক হিংসা উস্কে দেওয়ার মতো, এবং ইতিমধ্যেই এ মাসে দুটি সাম্প্রদায়িক গোলমাল ঘটে গেছে। ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ এ রাজ্যে বিরোধীদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানেন না তিনি কী করবেন।