কলকাতা: করোনা বিরোধী লড়াইয়ে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা৷ আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক পুলিশ কর্মী৷ অথচ তাঁদের সুরক্ষার চিন্তা নেই উপরমহলের৷ এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের (পিটিএস) সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন একদল পুলিশকর্মী৷ বিক্ষোভকারী কনস্টেবলদের হাতে আক্রান্ত হলেন কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা৷
অভিযোগ, তাঁরা যে ব্যারাকে রয়েছেন, সেখানে একজন সাব-ইন্সপেক্টরের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পড়েও, ব্যারাক স্যানিটাইজ করা হয়নি৷ সুপার সাইক্লোন আমপানের জন্য এই পুলিশ কনস্টেবলদের মোতায়েন করা হয়েছিল৷ কিন্তু ব্যারাক স্যানিটাইজ না করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা৷ পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ বুধবার সকালে নবান্ন যাওয়ার পথে আচামকাই পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সারপ্রাইজ ভিজিট করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর এদিন ১০টা বেজে ১০ মিনিটে বিক্ষোভস্থলে পৌঁছন তিনি৷ সেখানে ১০ মিনিট ছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা৷
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের ভিতরে এবং বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য পিটিএস-এর সামনে উপস্থিত হন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এনএস পাল৷ কিন্তু তিনি আসার পরেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়৷ এজেসি বোসের পিটিএস হেডকোয়াটার্সেই পরিবার নিয়ে থাকেন ডিসিপি৷ ডিসিপিতে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি৷
তবে কলকাতার নিম্নপদস্থ এক পুলিশকর্মী জানান, তাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ডস্যানিটাইজার এবং মাস্ক দেওয়া হচ্ছে না৷ সিনিয়র অফিসাররা আশ্বস্ত করেই খান্ত৷ বাস্তবে সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টাই করেননি তাঁরা৷ এমনকী করোনা প্যানডেমিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিউটি করার পরও তাঁরা বিশ্রাম নেওয়ার সময়টুকু পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ৷ শেষ পর্যন্ত পিটিএসের এক পুলিশ কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে৷ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ৫০ জনেরও বেশি আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের হোম হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে৷