কলকাতা: রাজ্য থেকে আমফান বিদায় নিয়ে, রাজ্যের কয়েকটা জেলাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে৷ কিন্তু আমফান চলে যাওয়ার পরও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে দক্ষিণঙ্গের বেশ কিছু জেলায়৷ আমফানের দগদগে ক্ষততে ঝোড়ো হাওয়ায় রাজ্যের মানুষ ভয় পেতে শুরু করেছেন৷ তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঝোড়ো হাওয়া বইলেও এখনই কোনও বড় ধরনের ঝড়ের কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তবে বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন৷ বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রটেছিল, ফের ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে পারে৷ নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই গুজব উড়িয়ে নয়া পূর্বাভাস হওয়া অফিসের৷
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, এখন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বাইছে৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতে ঘর্ণাবর্তের জেরে এই ঝোড়ো হাওয়া বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে৷ তবে, এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত৷ আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ঝাড়খণ্ড ও বিহার লাগোয়া এলাকায়৷ যার জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্র হাওয়া লাগাতার দক্ষিণবঙ্গের ওপর থেকে দ্রুত বেগে বয়ে চলেছে৷ কিন্তু হাওয়ার বেগ বেশি হওয়ায় ভারী মেঘ তৈরি হতে পারছে না৷ যার ফলে বৃষ্টি হচ্ছে না৷
জানানো হয়েছে, আগামী ৪ দিন আকাশে মেঘ থাকবে৷ কোথাও আবার ভারী মেঘ৷ কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে৷ তবে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি বজায় থাকবে৷ দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর আশঙ্কাও কিছুটা কম৷ এই মুহূর্তে নেই কোনও তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত৷ আগামী জুনের শুরুতে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ আরব সাগরে ওই নিম্নচাপের হাত ধরে কেরালায় বর্ষা ঢোকার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ৷ সেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তার কোনও ইঙ্গিত আপাতত দিতে পারেনি হাওয়া অফিস৷