ঢাকা: চিন বহু সময় ধরেই চেষ্টা করছে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। ইতিমধ্যে ঢাকা ও বেজিংয়ের মধ্যে রুদ্ধধার বৈঠক পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু চিন কি আদতে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশকে ‘দূরে’ নিয়ে যেতে পারল? একদমই তা নয়। বরং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যে আরও মজবুত হচ্ছে সেই কথাই পরোক্ষে জানিয়েছেন ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্প্রতি ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে হাসিনা স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে তা আগামী দিনে দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে আরও সহায়তা করবে। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, দারিদ্র দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে দুই রাষ্ট্রকে। স্পষ্টত বলা যায়, চিন নয় ভারতের সেনাবাহিনীর ওপরই বেশি আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারকে দু’হাজার টাকার নোটে ক্ষতিপূরণ তৃণমূলের!” width=”853″>
বিগত কয়েক দশক ধরে চিন চাইছে ভারতের একাধিক প্রতিবেশী দেশে নিজেদের ‘দখল’ জমাতে। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কার যা অবস্থা হয়েছে তাতে এই দ্বীপ-দেশে নিজেদের ঔদ্ধত্য দেখানোর যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে চিন। বাকি রয়েছে বাংলাদেশ। গত কয়েক বছরে চিন বাংলাদেশকে প্রচুর হাতিয়ার সরবরাহ করেছে। অনুমান ছিল, এইভাবে বাংলাদেশকেও নিজেদের সঙ্গে করে নিতে পারবে তারা। কিন্তু আপাতত সেই চেষ্টা ব্যর্থ।