কলকাতা পুলিশের অন্দরে ‘বিদ্রোহ’ রুখতে ‘রাজনীতি’র পাঠ রাজ্যপালের

কলকাতা পুলিশের অন্দরে ‘বিদ্রোহ’ রুখতে ‘রাজনীতি’র পাঠ রাজ্যপালের

কলকাতা: করোনা আবহে কলকাতা পুলিশের অন্দরে বিদ্রোহ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে৷ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ, গড়ফা থানা ভাঙচুর ও হালের পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়ানে সশস্ত্র পুলিশ কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনায় এবার টুইটারে উষ্মা প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ পুলিশকে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে বলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধান৷

টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘আমি খুবই চিন্তিত। প্রথমে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুল, তারপর গরফা থানা এবং সর্বশেষ বিধাননগরে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়ানের ঘটনা আমায় স্তম্ভিত করেছে। উর্দিধারীদের এই ধরণের আচরণ খুবই চিন্তাজনক৷ এতে কলকাতা পুলিশের মহান ঐতিহ্যে আঘাত লাগছে৷ সার্বিকভাবে ওঁদের ক্ষোভ প্রশমন করার জন্য এক্ষুনি যথাযোগ্য ন্যায্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন৷ প্রশাসনকে স্বচ্ছ ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন রাখতে আমলাতন্ত্র এবং পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে৷’’

পুলিশ কর্মীদের বিক্ষোভ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সল্টলেকের৷ গতরাতে আবাসন চত্বর ভাঙচুর থেকে শুরু করে ইটবৃষ্টি, কিছুই বাদ রাখেননি বিদ্রোহী পুলিশকর্মীরা৷ পুলিশ আধিকারিকদের লক্ষ্য করে দফায় দফায় চার নম্বর সশস্ত্র পুলিশের ব্যাটেলিয়ানের ভেতর থেকে ইট ছোড়া হয়৷ ভেঙে দেওয়া হয় ব্যাটেলিয়ানের সাইনবোর্ড৷

অভিযোগ, পুলিশ ব্যাটেলিয়ানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে করে রাখা হয়৷ অভিযোগ আক্রান্ত পুলিশকর্মীকে ঠিকভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছিল না৷ ছুটি দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ পুলিশ কর্মীদের৷ সাধারণ পুলিশদের সঙ্গে কেন অন্য করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা পুলিশ কর্মীকে রাখা হবে? প্রশ্ন শেষ সন্ধ্যায় শুরু হয় বিক্ষোভ৷ বিদ্রোহের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থল যায়৷ পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও যান পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে৷ পরে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে থাকা পুলিশকর্মীকে ব্যাটেলিয়ানের ভেতর থেকে বেরকরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *