কলকাতা: করোনা আবহে মধ্যেই রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিকস্তরে বড়সড় রদবদল৷ তালিকার সিংহভাগ দখল করে নিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো বহু তারকা নেতা-নেত্রী৷ সব্যসাচী দত্ত থেকে দুলাল বর, বিজেপির সাংগঠনিক পদে বসলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো মুকুলপন্থীরা৷ তবে, বিজেপির নয়া তালিকা এবারও নাম নেই ‘প্রিয় কাননে’র৷ দলেই আছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, ঘোষণা দিলীপের৷
রাজনৈতিক মহল নিশ্চিত ছিল, বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পরবেন চন্দ্র বসু। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হল। নতুন রাজ্য কমিটিতে জায়গা পাননি দেবজিৎ। রাজ্য কমিটিতে এলেন সল্টলেকের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। উল্লেখযোগ্য বদল এল দলের দুই শাখা সংগঠনে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। লকেট চট্টোপাধ্যায় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হলেন।
আগের কমিটির তিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রথীন্দ্রনাথ বসু, এবং সঞ্জয় সিংহ নতুন কমিটিতেও একই পদে রয়েছেন। দলের যুব সংগঠনেও নতুন মুখ। দেবজিৎ সরকারের জায়গায এলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সল্টলেকের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। দলের ১২ জন সহ সভাপতির নামও ঘোষণা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, সুভাষ সরকার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস মিত্র, রাজকুমার পাঠক, জয়প্রকাশ মজুমদার, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় (রাজু), ঋতেশ তিওয়ারি, নিশীথ প্রামানিক, অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষ ও মাফুজা খাতুন।
বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটিতে সভাপতি পদে বসছেন দিলীপ ঘোষ৷ সহ সভাপতি পদে বসছেন সুভাষ সরকার, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজকমল পাঠক, বাপি মিত্র, রিতেশ তেওয়ারী, জয়প্রকাস মজুমদার, অর্জুন সিং,অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপেন প্রামানিক, ভারতী ঘোষ, মাফুজা খাতুন৷ সাধারণ সম্পাদক পদে বসছেন, সায়ণতন বসু, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় মাহাতো, সঞ্জয় সিং,রথীন্দ্রনাথ বসু৷
সম্পাদক পদে বসছেন তুষার মুখোপাধ্যায়, দিপাঞ্জন গুহ, বিবেক সনকার, সব্যসাচী দত্ত, ফাল্গুনী পাত্র, তনুজা চক্রবর্তী, সংহমিত্রা চৌধুরী, সর্বরী মুখোপাধ্যায়, অরুণ হালদার, তুষার ঘোষ৷ মহিলা মোর্চা পদে বসছেন অগ্নিমিত্রা পাল৷ যুব মোর্চা পদে বসছেন সৌমিত্র খাঁ, কিষান মোর্চা পদে বসছেন মহাদেব সরকার৷ এসসি মোর্চা পদে বসছেন দুলাল বর, এসটি মোর্চা পদে বসছেন খগেন মুর্মু৷ সংখ্যালঘু মোর্চা পদে বসছেন আলী হোসেন৷