রাজ্যপাল ‘মস্তান’, পার্থ! আইনি হুঁশিয়ারি আচার্যের! ১ পদে ২ জনকে নিয়োগ রাজ্য-রাজ্যপালের!

রাজ্যপাল ‘মস্তান’, পার্থ! আইনি হুঁশিয়ারি আচার্যের! ১ পদে ২ জনকে নিয়োগ রাজ্য-রাজ্যপালের!

কলকাতা: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ ঘিরে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত৷ রাজ্যপাল মনোনীত প্রার্থীকে অগ্রাহ্য করে সরকার রাজ্য সরকার মনোনীত প্রার্থীকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে৷ আর এইনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ‘খতম করে দেব’, ভয় দেখাচ্ছেন, ‘মাস্তান সুলভ’ কথা বলছেন রাজ্যপাল৷  চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে রাজভবনের তরফে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জরুরি ভিত্তিতে কড়া নির্দেশিকা পাঠিয়েছে আচার্য তথা রাজ্যপাল৷ নির্দেশ না মানলে আইনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷

গতকাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল৷ রাজ্যের পাঠানোর সুপারিশ অনুযায়ী কোনও প্রার্থীকে নিয়োগ না করার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ জানিয়েছিলেন, বিজেপির নেতাদের শীর্ষপদে বসাচ্ছেন রাজ্যপাল৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপককে সহ-উপাচার্য পদে রাজ্যপালের মনোনীত প্রার্থীকে কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না বলে আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ আজ পাল্টা রাজ্য সরকারের তরফে ওই একই পদে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আশিস পানিগ্রহিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর আজ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আসিস পানিগ্রাহী৷ কিন্তু রাজ্যপাল নিযুক্ত ও রাজ্য সরকার নিযুক্ত সহ-উপাচার্য পদে দু’জন নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল৷ পরামর্শ মানেই যে সহমত তা নয়৷ যা হয়েছে নিয়ম মেনে করা হয়েছে৷ পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে রাজভবন৷ রাজ্যের বিরুদ্ধে সংঘাত আরও বাড়িয়ে দিয়ে উপাচার্যদের কড়া ভাষায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য৷ নির্দেশিকা অবিলম্বে মানতে হবে৷ অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷

রাজ্যপালের ‘মস্তানি’ করছেন! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সংবাদমাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘ছাত্র জীবন থেকে আজ পর্যন্ত আমি কখনও শুনিনি, রাজ্যপাল নিয়োগ পত্রের স্বাক্ষর করছেন৷ এটা অসম্ভব ব্যাপার৷ অগণতান্ত্রিক৷ অসাংবিধানিক৷ রাজ্যপালের আসনে বসে থাকার আচার্য সাম্নানিক একটা পদ৷ সেই পদ নিয়ে ছেলেখেলা করছেন৷ আমরা এটা মানব না৷ শুধু তাই নয়, আমরা শুনেছি ফোনে উপাচার্য পর্ষদ জানিয়েছে, ফোন করে রাজ্যপাল সবাইকে ভয় দেখাচ্ছেন৷ ফোনে উনি সবাইকে বলছেন, দেখে নেব৷ তোমাকে বহিষ্কার করব৷ তোমাকে খতম করে দেব৷ আমি রাজ্যপাল মহোদয়কে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, এই কাজ তিনি যেব না করেন৷ ওঁরাও কিন্তু সম্মানীয় শিক্ষাবিদ৷ ‘মাস্তান সুলভ’ কথা মুখ থেকে আসছে৷ আমরা ব্যথিত এর জন্য৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *