কলকাতা: বছর খানের আগে ফণির ছোবলের পর সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আমফানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে সুন্দরবন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের প্রায় ১০ হাজার ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়েছে ঝড়ের জেরে। সেই ক্ষত পূরণ করতে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে অরণ্য পুনঃসৃজনের জন্য রাজ্য সরকার পাঁচ কোটি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার নবান্নে বসে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বুধবার নবান্নে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য পুনঃসৃজনের জন্য রাজ্য সরকার সেখানে ৫ কোটি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস থেকে ওই কর্মসূচি শুরু করা হবে। এক মাসের মধ্যে সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। পাশাপাশি কলকাতা এবং অন্যান্য জেলাতেও পুরসভা ও পুলিশের উদ্যোগে ওই দিন থেকে বনসৃজন শুরু হবে বলে তিনি জানান৷ অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের মৎস্যজীবীদের নৌকা মেরামতি ও নতুন জাল কেনার জন্য রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে।
নবান্নে বুধবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ও করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ছোট মাছ ধরার নৌকা ভেঙে গিয়েছে। সেগুলি সারানোর জন্য নৌকা পিছু মৎস্য দপ্তর ১০ হাজার টাকা করে দেবে। ৮ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা মেরামতের জন্য জন্য ১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের মৎস্য দপ্তর ৩৭ হাজার জাল কিনে দেবে। গবাদি পশুপালকদের অর্থ সাহায্য করার জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নদীপথ গুলি দ্রুত মেরামতের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এদিন আবারও নির্দেশ দেন। ৬ জুন ভরা কোটালের আগে যত সম্ভব বাঁধ মেরামতির কাজ সেরে ফেলতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য সরকার।