কলকাতা: ভুয়ো খবর সম্প্রচার করার অভিযোগ করা হয়েছিল আরামবাগ টিভি নামের একটি স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে৷ ক্লাবকে টাকা দেওয়া সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করায় দায়ে ওই চ্যানেলের কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করে পুলিশ৷ পুলিশের ওই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে আরামবাগ টিভির এডিটর শেখ সফিকুল ইসলাম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ সেই মামলার প্রক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমারবাগ টিভির কোনও সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না৷
আরামবাগ টিভির সম্পাদকের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রজু করা হয়েছিল৷ একটি পুলিশ স্বতঃপ্রণেদিতভাবে এবং অন্যটি এক ব্যক্তি৷ দুই ক্ষেত্রেই এক নির্দেশ কার্যকর হবে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানিয়েছেন৷ জানা যায়, কয়েকদিন আগে আরামবাগ টিভি নামে একটি চ্যানেল করোনো আবহে ক্লাবকে টাকা দেওয়া সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে৷ সেখানে দেখানো হয়, পুলিশ কতগুলি ক্লাবকে টাকা বিলি করছে৷
আরামবাগ টিভির এডিটর শেখ সফিকুল ইসলাম জানান, এই ভিডিও প্রকাশ করার পরে পুলিশ তাঁদের ওপর চাপ দিতে থাকে৷ বার বার জানতে চায় এই ফুটেজ তিনি কোথা থেকে পেলেন বা ৫২টি ক্লাবের নামকে তাঁকে দিয়েছে৷ কিন্তু সফিকুল এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ হলে ভুয়ো খবর ছড়ানোর মামলা দায়ের হয়৷ এই বিষয়ে আরামবাগ পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷ যদিও যে এফআইআরের প্রতিলিপি ‘দ্য ওয়াল’ নামের একটি সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেছে৷ তাতে পুলিশ স্বীকার করে নিয়েছে, ১১-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আরামবাগ থানা থেকে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে চেক দেওয়া হয়েছে৷