ওয়াশিংটন: করোনায় বিধ্বস্ত বিশ্ব৷ এর মাঝেই সতর্কবার্তা দিল নাসা৷ মার্কিন গবেষনা সংস্থা নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস) জানাল, আজ ২৩ মার্চ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে চারটি গ্রহাণু৷ পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুগুলির৷ এগুলি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে মানব সভ্যতা৷
নাসার পক্ষ থেকে এই চারটি গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে ২০২০ এফকে, ২০২০এফএস, ২০২০ডিপি৪ এবং ২০২০এফএফআই৷ এই চারটি গ্রহাণুর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে ছোট এফকে৷ এটির ব্যাস মাত্র ৪৩ ফুট৷ ঘণ্টায় প্রায় ৩৭ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে গ্রহাণুটি৷ পৃথিবী থেকে ১.৩৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর দিয়ে ছুটে যাবে এটি৷ এর থেকে আয়তনে সামান্য বড় ২০২০ এফএস৷ এটির ব্যায় ৫৬ ফুট৷ তুলনামূলক কম গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই গ্রহাণুটি৷ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫ হাজার কিলোমিটার৷ পৃথিবী থেকে ৩.০৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর দিয়ে ছুটে যাবে এফএস৷
আজ ২৩ মার্চ আমরা পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসতে দেখব ২০২০ডিপি৪ গ্রহাণুটিকে৷ চারটি গ্রহাণুর মধ্যে এটি আয়তেন সবচেয়ে বড়৷ এটির ব্যাস ১৮০ ফুট৷ পৃথিবী থেকে ১.৩৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘণ্টায় ২৯ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে ছুটে যাবে ডিপি৪৷ সুতরাং ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছে নাসা৷
অন্যদিকে, আয়তনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০২০এফএফআই৷ এর ব্যাস ৪৮ ফুট৷ অবাক লাগলেও, চারটি গ্রহাণুর মধ্যে এফএফআই-এর গতিবেগ সবচেয়ে বেশি৷ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে এটি৷
তবে এই চারটি গ্রহাণু নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলেই জানাচ্ছে নাসা৷ এগুলি কোনও ভাবেই পৃথিবীর উপর প্রভাব ফেলবে না বলে জানানো হয়েছে৷ এই চারটি গ্রহাণুর মধ্যে কোনোটিরই ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা নেই৷ পৃথিবী থেকে নিকটবর্তী দূরত্ব থাকবে কমপক্ষে ৭.১৩ লক্ষ কিলোমিটার৷ এর থেকে পৃথিবীর অনেক কাছে রয়েছে চাঁদ৷ পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব মাত্র ৩.৬ লক্ষ কিলোমিটার৷ উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেও একটি বড় গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল৷ তবে সেটি কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়৷