কলকাতা: বিভিন্ন রাজ্যের দাবি মেনে লকডাউন চলাকালীন মদের দোকান খোলা এবং মদ বিক্রিতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এরাজ্যে বিলিতি মদের পাশাপাশি দেশি মদেরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বাজারে। সে কারণে দেশি মদের দোকান খোলার জন্য তৎপর রাজ্য সরকার।
আফগারি দফতর সূত্রের খবর, গত মে মাসে দেশি মদের দোকান খোলার জন্য বিক্রেতাদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে আবগারি বিভাগ। সেই বৈঠকে শাসক দলের তরফে মদ বিক্রেতাদের কাছে বিপুল টাকা কমিশন দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। যাতে আপত্তি জানান বড় সংখ্যার মদ ব্যবসায়ীরা। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যে তৃণমূলের এক অন্যতম প্রভাবশালী নেতার।এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্যে দেশী মদ বিক্রি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। দেশি মদে শাসকদলের এই কাটমানি আদায়ের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তৃতীয় দফার লকডাউনের শেষ লগ্নে কেন্দ্রীয় সরকার মদ বিক্রিতে শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দেওয়ার পর গত ১৫ মে দেশী মদ উৎপাদক সংস্থাগুলির ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আবগারি কমিশনার। অভিযোগ ওই বৈঠকে সশস্ত্র দেহরক্ষী পরিবৃত হয়ে এসে উপস্থিত হন শাসকদলের এক অত্যন্ত প্রভাবশালী ঘনিষ্ঠ। এবং তিনি বেশি মদের বোতলে আড়াই টাকা অর্থাৎ বোতলের প্রতি কেস পিছু কিছু প্রায় ৫০ টাকা করে কাট মানি দাবি করেন। উপস্থিত বেশিরভাগ মদ ব্যবসায়ী ওই প্রস্তাবে আপত্তি জানানোয় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। রাজ্যে দেশী মদ উৎপাদক সংস্থার মধ্যে অন্যতম একটি বড় সংস্থাকে প্রস্তাবে আপত্তি জানানোয় তাদের মার্কেট শেয়ার ৩৫শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে তিন শতাংশ করে দেওয়া হবে বলেও ওই বৈঠকে প্রভাবশালী নেতার তরফে হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুনরায় ৩০ মে বৈঠক ডাকেন আবগারি কমিশনার। সেই বৈঠকের ফলাফল এখনো সামনে আসেনি। তবে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাটমানি আদায়ের অভিযোগে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস যে দল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বারংবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কাটমানি আদায়ের প্রবণতা ছাড়তে পারেনি তা আবারও পরিষ্কার হয়ে গেল বলে বিরোধীদের অভিযোগ। টুইটারে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।