মিড ডে মিলের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত পড়ুয়ারা, শিক্ষামন্ত্রীর জবাব চাইল বিজেপি টিচার্স সেল

মিড ডে মিলের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত পড়ুয়ারা, শিক্ষামন্ত্রীর জবাব চাইল বিজেপি টিচার্স সেল

কলকাতা:  করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে গত ২৪ মার্চ সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে পঞ্চম দফার লকডাউন পর্ব৷ এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মিড ডে মিলও৷ বেশ কিছু দিন মিড ডে মিল পায়নি পড়ুয়ারা৷ পরে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মিড ডে মিলের রান্না করা খাবারের পরিবর্তে চাল ও আলু বিতরণ শুরু হয়৷ কিন্তু সরকারের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক মহল? তাঁদের প্রশ্ন, কেন শুধুমাত্র চাল ও আলু বিতরণ করা হবে৷ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কেন ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না? মিড ডে মিলের বরাদ্দ থেকে পড়ুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি টিচার্স সেল৷

বিজেপি টিচার্স সেলের রাজ্য আহ্বায়ক দিপল বিশ্বাস পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, প্রাথমিকে ছাত্রছাত্রী পিছু মিডডে মিলের দৈনিক বরাদ্দ ১০০ গ্রাম চাল এবং ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। আর উচ্চ প্রাথমিকে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর দৈনিক মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১৫০ গ্রাম চাল এবং ৭ টাকা ৪৫ পয়সা। প্রতি মাসে গড়ে ২৫ দিন মিডডে মিলের রান্না হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে  প্রাথমিকের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর জন্য মিডডে মিলের বরাদ্দ প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম চাল ও ১২৪ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে মাথা পিছু বরাদ্দ প্রায় ৩ কেজি ৭৫০ গ্রাম চাল এবং ১৮৬ টাকা। অভিযোগ, এই বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে পড়ুয়াদের৷ মাসে ২ কেজি চাল ও ২ কেজি আলু দিয়ে দায় সারছে রাজ্য সরকার৷ ১৮ টাকা কেজি  দরে ২ কেজি আলুর জন্য প্রতি মাসে ছাত্র পিছু রাজ্য সরকারকে ব্যয় করতে হচ্ছে মাত্র ৩৬ টাকা। তাহলে ছাত্রছাত্রীদের মিডডে মিলের জন্য বরাদ্দ বাকি টাকা ও বাকি চাল কোথায় যাচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন দিপল বিশ্বাস৷

তিনি বলেন, লকডাউনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উচিত ছিল ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে বাকি বরাদ্দ অর্থ তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া৷  ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে শিক্ষক-শিক্ষিকারা লকডাউনের মধ্যেও সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে স্কুলে পৌঁছেছে চাল-আলু বিতরণ করতে৷ যাতে পড়ুয়াদের খাবার দাবারের কোনো সমস্যা না হয়‌। শুধুমাত্র চাল ও আলু না দিয়ে এর সঙ্গে ডাল, তেল, সবজি ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করে বিজেপি টিচার্স সেল৷ এতে লকডাউনের মধ্যে পড়ুয়াদের খাবারের সমস্যা কিছুটা হলেও মিটতো বলেই মনে করেন তাঁরা৷  লকডাউনের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই কেন? ২ কেজি চাল ও ২ কেজি আলু বাদ দিয়ে ছাত্রছাত্রীর জন্য মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাকি অর্থ ও চাল কেন তাদের দেওয়া হচ্ছে না, শিক্ষিমন্ত্রীকে তার সদুত্তর দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে বিজেপি টিচার্স সেল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *