কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আবারও উঠে এল রাজ্যের শিক্ষকসমাজ ও কর্মপ্রার্থী শিক্ষিত যুবকদের দুর্দশার কথা। সরকারের তরফে একাধিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বছরের পর বছর বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ওই সংক্রান্ত একগুচ্ছ দাবির কথা জানালেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো একটি চিঠিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রাথমিক টেট থেকে শুরু করে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকপদে নিয়োগ এমনকী, উচ্চশিক্ষায় অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা কার্যকর করেনি রাজ্য। এদিনের চিঠিতে সুজন চক্রবর্তী তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
সুজনের অভিযোগ, ২০১৭ সালে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হলেও প্রাথমিক টেট পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য দিয়েছিল, তা তিন বছর পরেও কেন সম্পন্ন হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শিক্ষিত যুবসমাজকে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, এমনও প্রশ্ন করেছেন তিনি। পাশাপাশি উঠে এসেছে উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াও গত প্রায় ৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাও নিয়মিত হচ্ছে না। এর ফলে বিশাল অংশের শিক্ষিত যুবসমাজ বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। জীবনের মূল্যবান সময় তারা নষ্ট করছে। এছাড়াও বামপরিষদীয় দলনেতা চিঠিতে জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষায় অতিথি অধ্যাপক ও অন্যান্যদের সরকারি অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রক্রিয়াও গত ৬ মাস ধরে কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী, সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত মেমোরেন্ডামও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুজনবাবু ওই সমস্যাগুলি অবিলম্বে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও আংশিক, অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরাও যে সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, সেই বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।