কলকাতা: করোনা সংকটের মধ্যেও অব্যাহত সাইবার ক্রাইম৷ শুধু ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে প্রতারণা নয়, মোবাইলে ভুয়ো লিঙ্ক পাঠিয়েও বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷ লিঙ্ক খুললেই যাবতীয় তথ্য থেকে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। সাইবার অপরাধের এই বাড়বাড়ন্ত রুখতেই ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগ নিজেদের ওয়েবসাইটে দুটি অ্যাপলিকেশনের লিঙ্ক যুক্ত করেছে৷ যার মাধ্যমে সহজেই ধরা যাবে সাইবার জালিয়াতি৷
কী ভাবে এই ইউআরএল সংরক্ষণ করতে হবে সে সম্পর্কে শেখানো থেকে শুরু করে, কী ভাবে অভিযোগ করতে হবে, সে সম্পর্কে দ্রুত গাইডলাইন ছকে দেবে এই অ্যাপস৷ সাইবার আইনজীবী এবং পাবলিক প্রসিকিউটার বিভাস চট্টোপাধ্যায় লকডাউনের সময়কে ব্যবহার করে এই দুটি অ্যাপ ডেভলপ করেছেন৷ সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এটাই প্রথম বাংলা ভাষায় সাইবার অ্যাপস৷ সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় তৈরি এই অ্যাপস সাইবার আইন সম্পর্কে বুঝতে ও জানতে সাহায্য করবে৷ এটির একটি হিন্দি ভার্সানও আনা হয়েছে৷ দ্বিতীয় অ্যাপসটি সাইবার অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে।
সোশ্যাল সাইটে কোন কোন জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত, কোথায় বিপদ লুকিয়ে রয়েছে, সেই হদিশ দেবে এই অ্যাপস। জাভা'র ব্যবহারে তৈরি করা হয়েছে বেঙ্গলি সাইবার আইন নামের এই অ্যাপসটি। মূলত চারটি ভাগ রয়েছে অ্যাপসটিতে। সাইবার অপরাধ জগত এবং তার আইন, তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০,বিভিন্ন সাইবার অপরাধ এবং সেই সংক্রান্ত আইন৷ এছাড়াও সাইবার আইনে কী ভাবে মামলা রুজু করবেন, কিভাবে সাইবার আইনের সাহায্য নিয়ে এগোতে হবে, রয়েছে সেই সংক্রান্ত অনলাইন ভিডিয়োর একটি ফিচার।
‘বেঙ্গলি সাইবার আইন অ্যাপ’ একটি গাইডবুকের মতো৷ এর সাহায্যে কোনও ব্যক্তি সহজেই সাইবার জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন৷ আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লকডাউনের মধ্যে আদালতের কাজ বন্ধ ছিল৷ আমার মনে হয়েছিল সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই সময়ে গঠনমূলক কিছু করা উচিত৷ সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই সাইবার ল’ সম্পর্কে বুঝতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই অ্যাপ তৈরির কথা মাথায় আসে৷’’