কলকাতা: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা৷ অব্যাহত মৃত্যু-মিছিল৷ করোনা নিয়ে সাধারণ জনতা যখন আতঙ্কের মধ্যে দিন গুনছেন, ঠিক তখন বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও মহামারীর সুযোগ নিয়ে মেনে পড়েছে মুনাফা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায়৷ করোনা প্রতিরোধের ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করা থেকে শুরু করে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ছড়িয়ে করোনা নিরাময়ের ওষুধ বলে প্রচার চলছে লাগাতার৷ কিন্তু জানেন এই সমস্ত ওষুধ সেবনে ঠিক কতটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে মানবদেহে?
করোনা আবহে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হাতে হাতে ঘুরছে বিভিন্ন ওষুধের গুণাগুণের প্রচার৷ কিন্তু, এই সমস্ত প্রচারে নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন ডাক্তাররা৷ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে৷ করোনা আবহে নিজেকে বাঁচাতে মরিয়া সকলেই৷ গত কয়েক মাস ধরে চলছে বিভিন্ন ওষুধের প্রচার৷ ডিসিজিআই ও ড্রাগ কন্ট্রোলগুলির নাকের ডগায় বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওধগুলি বিক্রি বেড়েছে৷ কোভিড আতঙ্ককে মূলধন করে বিভিন্ন সংস্থা করোনার ‘ওষুধ’ তৈরিতে পুঁজি ঢালছে৷ ফলে, তাঁদের এখন লক্ষ্য, যেকোনও প্রকারে বাজারে থেকে সেই টাকা তুলতে হবে৷
আর সেই কারণে ত্বকের ওষুধ থেকে শুরু করে পাউডার ও মলম তৈরি করে ভিপিরাভির গোত্রের অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ বাজারে ছেড়েছে বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থা৷ মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের কোভিড রোগীদের ‘ওষুধ’ বলেও দেদার প্রচার করা হচ্ছে৷ দামো বেশ চড়া৷ এক একটির ওষুধের দাম ১০৩ টাকা৷ অথচ বাজারে রয়েছে ২০ টাকার ফেভিপিরাভির ওষুধ৷ রেমিডিসিভির গ্রুপের ১০০ এমজি ভায়ালের অ্যান্টি ভাইরাল ইঞ্জেকশনও দেদার বিক্রি হচ্ছে৷ । ডেক্সামিথাজোন নামে আর একটি ওষুধ ব্যবহার নিয়েও চলছে তুমুল চর্চা৷ সঙ্গে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তো আছেই৷ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি হয়েছে৷
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বাদে আর কোনও ওষুধ কোভিড চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি৷ বাকিগুলি কোভিড প্রতিষেধক নয়৷চিকিৎসক পরামর্শ ছাড়া সেই ওষুধ খাওয়া উচিত নয় বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা৷ প্রেসক্রিপশন বা পরামর্শ ছাড়া এই সমস্ত ওষুধ খেলে অ্যালার্জি থেকে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে৷ দেহে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ৷