ওয়াশিংটন: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন লেখিকা ই জিন ক্যারল৷ সেই মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত। একই সঙ্গে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশের গোপন নথি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে মুখবন্ধ খামে সেই অভিযোগ পত্র জমা পড়েছিল যা এখন প্রকাশ্যে এসেছে। দাবি করা হয়েছে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিরাট নথি নিয়ে চলে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তাতে ৪৯ পাতার চার্জশিট জমা পড়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত প্রায় ১০০টি নথি নিজের ফ্লরিডার বাড়িতে নিয়ে চলে গিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে ৩১টি দেশের গোপন নথি সংক্রান্ত বিষয়। এক কথায় দেশের তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও ট্রাম্পের আইনজীবীর পাল্টা দাবি, “দেশের গোপন তথ্য সঠিক ভাবে সংরক্ষিত করে রাখার আইন আছে। সেটাই করতে চেয়েছেন তাঁর মক্কেল। তিনি আশা করছেন আদালত এই বিষয়টি নিয়ে ভাববে।
যদিও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশঙ্কা করছেন দেশের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার। কারণ মাঝেমধ্যেই নিজের বাড়িতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ট্রাম্প। সেখানে অতিথিরা আসেন। তাই ওখান থেকে গোপন নথি কারোর হাতে চলে যাওয়া অসম্ভব নয়। তাই আপাতত মামলার যে গভীরতা তাতে দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা হতে পারে।