কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি-এবিপি, ৪ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই: মমতা

কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি-এবিপি, ৪ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই: মমতা

 

 কলকাতা: রাজ্যে দু’একটি জায়গায় ক্ষতিপূরণ নিয়ে অনিয়ম হয়েছে৷ যেখানে অনিয়ম হয়েছে, ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ৷ রাজ্য সরকার যখন করোনা, আমফান নিয়ে লড়াই, তখন আনন্দবাজার পত্রিকা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর করছে৷ হাজরায় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দুর্নীতি রুখতে দারাজ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর৷ দুর্নীতির পিছনে বাম আমলের পুরোনা অভ্যাস এখনও সক্রিয় রয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি-দুটি ছোট ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে৷ কারণ, আমাদের দুর্ভাগ্য, বাংলার প্রধান সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার চিরকাল নেতিবাচক খবর করছে৷ ধরুন আমাদের ৩৪১টা ব্লক আছে৷ কত পুরসভা আছে৷ তিনটে জায়গায় ছোট্ট তিনটে ঘটনা নিয়ে, রোজ গালাগালি দিয়ে বেড়াবে৷ ইচ্ছা করে, পরিকল্পনামাফিক সিরিজ করবে৷ ওই ওখানে দুর্নীতি হয়েছে, ৩টি জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে, দেখে আসো, ভারতবর্ষজুড়ে কী হচ্ছে৷’’

এরপর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘সিপিএমের আমলে ১০০% দুর্নীতি হয়েছে৷ আমরা এখন সবটা পারিনি৷ একবারে সব সম্ভব নয়, ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি৷ কারণ আমি আমাদের পার্টিকে ছেড়ে কথা বলি না৷ মানুষের টাকা কেউ যাতে না নেই৷ এটা আমাদের ইনস্ট্রাকশন৷  হ্যাঁ, ৭-৮ শতাংশ কোথাও কোথাও হয়েছে৷ চেষ্টা করা হচ্ছে, পুলিশ তদন্ত গ্রেফতার করছে৷ এফআইআর করছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে৷ সেটাও আস্তে আস্তে কমে যাবে৷ কারণ অন্য রাজ্যে দেখুন৷’’

দুর্নীতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়েছে বাম জমানার তুলনা টানলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘সিপিএমের দুর্নীতির পদ্ধতি এখনও নিচু লেভেলে আছে৷ সরকারি লেভেলেও আছে৷ কিছু কিছু জায়গায় এখনও আছে৷ এটাকে মোকাবিলা করতে গিয়ে রোজ আমাদের লড়াই করতে হয়৷ শুধু  তাই না, সবাই বলে, কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি ও এবিপি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়৷ তারপর দিল্লির এজেন্সি৷ তারপর দিল্লি সরকার৷ তারপর টাকা দেয় না৷’’ এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই দুর্দিনে রাজ্য সরকার একজন কর্মীর চাকরি থেকে ছাঁটাই করেনি৷ কিন্তু, বাংলার প্রথম শ্রেণির একটি সংবাদমাধ্যম কর্মীদের বিপদে ফেলে ছাঁটাই করে দিচ্ছে৷ বাংলাকে বেচে ব্যবসা করছে৷ কিন্তু, দুর্দিনে পাশে থাকে না বলেও সরাসরি আনন্দবাজার পত্রিকাকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রীর৷ ঘুড়িয়ে বিজেপির থেকে ‘আর্থিক সুবিধা’ নেওয়া বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *