গ্রামে ঢুকতে বাধা, সন্তান নিয়ে শ্মশানে রাত কাটালেন মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক

শুক্রবার দিল্লি থেকে হাওড়ায় ফিরেছেন। ভেবেছিলেন নিজের ঘরে ফিরবেন। সেই অনুযায়ী স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকেও জানিয়ে রেখেছিলেন তাঁর বাবা। প্রাথমিকভাবে অসুবিধা হবে না জানালেও শেষ পর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে দিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। অগত্যা ১২ বছরের ছেলে এবং ভাইয়ের সঙ্গে শ্মশানেই রাত কাটাতে বাধ্য হলেন এক মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার রঘুদেবপুরে।

হাওড়া: শুক্রবার দিল্লি থেকে হাওড়ায় ফিরেছেন। ভেবেছিলেন নিজের ঘরে ফিরবেন। সেই অনুযায়ী স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকেও জানিয়ে রেখেছিলেন তাঁর বাবা। প্রাথমিকভাবে অসুবিধা হবে না জানালেও শেষ পর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে দিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। অগত্যা ১২ বছরের ছেলে এবং ভাইয়ের সঙ্গে শ্মশানেই রাত কাটাতে বাধ্য হলেন এক মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার রঘুদেবপুরে।

শেষমেশ ঘরে ফেরা হল না। তাঁর স্বামী মারা গেছেন আগেই। দিল্লি থেকে শুক্রবার হাওড়ায় ফিরেছেন। স্বামী না থাকায় বাপের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই অনুযায়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানানোও হয়েছিল। কিন্তু ওই মহিলা নিজের গ্রামে ফেরার সময় বাধা দেন স্থানীয়রা। মহিলার বাবার কথায়, ‘স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছিলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে আসুন, কোনও অসুবিধা হবে না’। সেই মতো আমি মেয়েকে নিয়ে আসি। কিন্তু এলাকার লোক আমাদের ঢুকতে দেয়নি। সেই অবস্থায় পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গেলে তখন তিনি নিরুপায় বলে জানান। সাহাপুরে আমাদের যে ঘর রয়েছে, সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’ সেই পরামর্শ অনুযায়ী সাহাপুরের নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু সেখানেও একই ঘটনার সম্মুখীন হন তাঁরা। কারণ হিসেবে বলা হয়, যেহেতু তাঁর নথিপত্র সাহাপুরে বদল করা হয়নি, তাই সেখানে থাকা যাবে না।’  মহিলার বাবা সুদর্শন পাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘সেখানেও স্থানীয়রা থাকতে দিচ্ছে না। তারপরে আমার মেয়ে সারা রাত শ্মশানে ছিল। তার সঙ্গে আমার ছোট ছেলে আর নাতিও ছিল।’

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর কথায়, ‘আমাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছিল, একটা অটোয় তিন জন রয়েছেন। কিন্তু আমি যখন দেখতে এলাম, তখন জানতে পারি, তাঁরা পাঁচলা থানায় পৌঁছে গেছেন। ওঁদের বাড়ি সাহাপুর ভাসাপাড়ায়। এক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। আমি পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাজাপুর থানা ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়ে দিই। আজই খবর পেলাম, ওঁরা সারা রাত শ্মশানে কাটিয়েছেন।’ যদিও রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের তরফে জানানো হয়েছে, ওই মহিলা, তাঁর সন্তান ও ভাইকে বাড়ি ফেরানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করা হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *