নিয়মকে বুড়ো! নয়া কনটেইনমেন্ট জোনে দেদারে চলছে মেলামেশা

নিয়মকে বুড়ো! নয়া কনটেইনমেন্ট জোনে দেদারে চলছে মেলামেশা

5f111d5b0bee2b6311d6fd467ecb57e3

কলকাতা: সারা ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে ২৭ হাজার অতিক্রম করেছে। বাংলায় একদিনে ১৩০০-র বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলায় সংক্রমণের তথ্য উদ্বেগ বাড়াচ্ছে৷ তবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে অভয় দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও করোনা সংক্রমণ কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা বাংলাজুড়ে বেশ কিছু কনটেইমেন্ট জোন করা হয়েছে৷ সেই কনটেইমেন্ট এলাকাগুলিতে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বাঁশ দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে৷ বাইরে থেকে এলাকায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ৷ রয়েছে কড়া পুলিশি নজরদারি৷ কিন্তু, পুলিশের চোখ এড়িয়ে কোথাও কোথাও  ধরা দিচ্ছে অনিয়ম৷ 

চিহ্নিত এলাকায় ছাড় দেওয়া হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে৷ সেই জরুরি প্রয়োজনকে হাতিয়ার করেছেন একাংশ৷ চিহ্নিত এলাকা থেকে বাইরে বের হওযার একমাত্র অবলম্বন মনে করছে বাংলার একাংশ৷
ধরা যাক শালকিয়ার বিপ্লব রায়ের কথা৷ কনটেইমেন্ট জোনে তাঁর বাড়ি পড়েছে৷ ঘর থেকে বের হওয়া একপ্রকার বন্ধ৷ উপায় সেই জরুরি প্রয়োজন৷ জরুরি প্রয়োজনে ছুটছেন বাজার করতে৷ কলকাতার সৌমিত্র দে৷ তিনি তিন বছরের পুরনো প্রেসক্রিবশন পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন৷ খুব প্রয়োজন ওষুধ৷ তাঁকে আনতেই হবে৷

সম্প্রতি শিলিগুড়িতে বেশ কিছু এলাকা কনটেইমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে চলেছে৷ এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি এলাকা বাঁশ দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু নিয়মকে হোক বা সচেতনাকে বুড়ো আঙুল দিয়ে স্থানীয়কদের বাঁশ টপকে বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে৷

কেউ কেউ আবার কনটেনমেন্ট জোনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ তাঁরা কনটেইমেন্ট জোনের বাইরে বের হচ্ছেন না৷ তবে, অনেকে নিজের এলাকাতে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া শুরু করেছেন৷ ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়ার বাসিন্দা কাকলি সেন বলেন, ‘রোগ ছড়ানো রুখতে এরকম লকডাউনকে স্বাগত৷ কিন্তু আমজনতা যদি বিধি মেনে না চলে, তাহলে পুলিশ এবং প্রশাসন কিছু করতে পারবে না৷ ওঁদের আরও সচেতন হতে হবে৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলায় আরও বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা, ৭দিনেও হল না উন্নতি!

বাংলায় আরও বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা, ৭দিনেও হল না উন্নতি!

ac592a0c15842440ec7c0f8a08633a56

 

কলকাতা: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা৷ আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে করোনা প্রভাবিত এলাকাভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার৷ এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজ্যে বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা৷

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাজ্য সরকারের প্রকাশিত তালিকা প্রকাশিত হয়৷ সেখানে কলকাতায় ২২৭টি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়৷ হাওড়ায় জেলায় ৫৭টি কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল৷ উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৭, পূর্ব মেদিনীপুরে করোনা কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ৮টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়৷

এবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজ্যে এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা বাড়ল কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা৷ আজ,  সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে কনটেইনমেন্ট জোন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৬টি৷ কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জন ২২৭ থেকে বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ৩১৮টি৷ উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১টি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে৷ হাওড়ায় ৫৭টি থেকে বেড়ে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৭৪টি৷ হুগলিতে নতুন কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ১৮টি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১টি, নদীয়া জেলায় ২টি, পূর্ব বর্ধমান ১টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮ থেকে বেড়ে ৯টি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫টি এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে৷

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের – “Microplan for Containing Local Transmission of Coronavirus Disease ( Covid 19)” অনুযায়ী, কোনও জায়গা থেকে কত কেস বা করোনা সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া গিয়েছে, সেই রোগীর কাছাকাছি কতজন এসেছেন তা বিচার করা হয় এবং কন্টেনমেন্ট জোনের মানচিত্র তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, তৎক্ষণাৎ মানচিত্র তৈরি সম্ভব হয় না। কারণ, ওই রোগীর কাছাকাছি কারা এসেছেন তা খুঁজে পেতে সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে, যে বাড়িতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, সেই বাড়িকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত জায়গা চিহ্নিতকরণ করা হয় কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী কন্টেনমেন্ট জোনের পরিসীমা পরিবর্তিত হতে পারে।

যে এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন হয়েছে, সেই এলাকার বাইরে অতিরিক্ত ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের (গ্রামের ক্ষেত্রে ৭ কিলোমিটার) এলাকা বাফার জোন হিসাবে থাকে। কন্টেনমেন্ট জোন এবং আশেপাশের প্রশাসনিক এলাকাও চিহ্নিত করা হয়। এই সবকিছুই ক্লাস্টার কন্টেনমেন্ট প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত। কন্টেনমেন্ট জোনকে সেক্টরে ভাগ করা হয়। একটি সেক্টরে ৫০টি বাড়ি থাকে। তবে, অতিরিক্ত সমস্যা রয়েছে, এমন এলাকায় ৩০টি বাড়ি নিয়ে সেক্টরে ভাগ করা হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *