জলপাইগুড়ি: শাসক দলের সঙ্গে পুলিশের ঘনিষ্ঠতা অভিযোগ আগেই উঠেছিল৷ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুলিশের সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা কাঙ্খিত না হলেও রাজনীতির ময়দানে যে কিছুই বাদ পড়ে না, তা আগেই লেখা হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে৷ পরিবর্তনের জমানাতয় সেই ঘটনার বদল ঘটেনি৷ পুলিশের সঙ্গে শাসকের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বরাবর অভিযোগ করে থাকেন বিরোধীরা৷ এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগে উলটপুরান জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়৷
অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারির পর থানায় রীতিমত ‘মাংস-ভাতে’র আয়োজন৷ বিতর্ক তৈরি হতেই আচমকা জলপাইগুড়ি জেলার কোতোয়ালি থানার আইসিকে বদলি৷ পূর্ব মেদিনীপুরের বদলি করা হয়েছে বিশ্বাশ্রয় সরকারকে৷ তবে আইসিকে কেন বদলি করা হল? রুটিনমাফিক বদলি, বলছে প্রশাসন৷
অভিযোগ, হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছিল বিজেপি৷ আর সেই বনধের সমর্থনে পথে নামা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সকালে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার ও দুপুরে থানার অন্দরে মাংস ভাতের আয়োজন৷ সেই মাংস ভাত ধৃত বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও বিলি করা হয় বলে অভিযোগ৷ যদিও গোটা পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিয়েছে পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, কোনরকম মাংস ভাত ওই দিন আয়োজন করা হয়নি৷ ওই দিন সয়াবিন ও ডাল-ভাত খাওয়ানো হয়েছিল৷ পুলিশকর্মীদের একাংশ বাইরে থেকে মাংস কিনে এনে খেয়েছিলেন৷ বিজেপি কর্মীরা বাইরে থেকে মাংস ভাত কিনে খেয়েছেন৷ থানার ভিতরে মাংস ভাতের আয়োজনের অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও, ‘সয়াবিন বনাম মাংস’ বিতর্কের মাঝেই আচমকা বদলি কোতোয়ালি থানার আইসিকে৷ আর তাতেই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক৷ স্থানীয়দের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, বনধের সমর্থনকারীদের গ্রেফতারির পর হঠাৎ কেন থানার মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হল? ‘সয়াবিন-ভাত’ আয়োজন করা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেন আইসিকে বদলি করা হল? পুলিশকে খাবার জোগাল কে? উঠছে প্রশ্ন৷