বোলপুর: ফের বেলাগাম অনুব্রত মণ্ডল৷ ময়ূরেশ্বরে বুথ ভিত্তিক সম্মেল মঞ্চ থেকে ফের বেপরোয়া তৃণমূল নেতা৷ বিজেপি কর্মীদের মেরে পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ প্রকাশ্য জনসভায় থেকে দলীয় কর্মীদের নয়া দাওয়াই দিয়েছেন অনুব্রত৷ বিজেপি কর্মীদের পা ভাঙলে অনুব্রত মণ্ডলের হাত-পা ভালো থাকবে তো? পাল্টা আক্রমণ বিজেপির বীরভূমের জেলা সভাপতির৷
ঝামেলা করছে বিজেপি? ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দেখছিস কেন? মেরে পাগুলি ভেঙে দিতে পারলি না? ওঁদের কোন কাজ নেই৷ পতাকা নিয়ে চলে যাবে৷ আর তোরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবি? তৃণমূল কর্মীদের ঠিক এমনই বার্তা দিয়েছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷
এদিন বুথভিত্তিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ সেখানে বলেন, ‘‘বিজেপি ঝামেলা করছে৷ আর তোরা ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দেখছিস? তোদের হাত পা নাই? নাকি লুলো হয়ে গেছিস নাকি? পিটিয়ে ওদের পা কোন ভেঙে দিলি না? কি বলছি, ইয়ার্কি মারে নাকি? কাজ নেই, কর্ম নেই, দলের পতাকা নিয়ে চলে যাবে৷ আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবি নাকি তোরা?’’ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য, ‘‘এই শোন, আমি মুখে যা খুশি বলতে পারি৷ তোরা কাজ কিন্তু বন্ধ রাখবি না৷ নাহলে ঠ্যাং ভেঙে রাখবো, বলে রাখলাম৷’’
অনুব্রত মণ্ডল যখন বিজেপি কর্মীদের পা ভেঙে দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক তখন পাল্টা জবাব দিতে খুব একটা দেরি করেনি বিজেপি নেতৃত্ব৷ বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল বলছেন, হাত-পা ভেঙে দাও, এই নিয়ে রাজনীতি করছে৷ আমি তো মিটিংয়ে গিয়ে শুনলাম, জনগণ বলছে, অনুব্রত মণ্ডল নাকি সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছেন৷ মেম্বার যদি চুরি করে থাকেন, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিন৷ দিদিকে দেখে ভোট দেবেন, দিদিকে দেখে দল করবেন৷ আর আজ অনুব্রত মণ্ডল বলছেন, হাত-পা ভেঙে দাও৷ যদি তাই হয়, তাহলে অনুব্রতর হাত-পা কি ঠিক থাকবে? মহিলা নিরাপত্তারক্ষী রাখেন কোন? কোনও প্রভাবশালীদের মহিলা নিরাপত্তারক্ষী দেখি না তো? বীরভূম জেলায় অনুব্রত মণ্ডলের কি মহিলা ভয় রয়েছে? যদি বিজেপি কর্মীদের মারা হয়, তাহলে সাধারন মানুষকে ছেড়ে কথা বলবে না৷’’