কলকাতা: শিক্ষা বহির্ভূত কাজে শিক্ষকদের নিয়োজিত করা যাবে না৷ আগেই দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল রায়৷ তারপরও, থামেনি সেই অভিযোগ৷ ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে, ভোটার তালিকা সংশোধন করা থেকে শিক্ষা বহির্ভূত বহু কাজ শিক্ষকদের দিয়ে করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে রেশন কার্ডের সমীক্ষা৷ শিক্ষকদের নিয়ে রেশন কার্ডের সমীক্ষা করানোর নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷
সম্প্রতি, পুরসভার সমাজকল্যাণ বিভাগ সমীক্ষক হিসেবে ৫০০ স্কুল শিক্ষকের নামের তালিকা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে৷ সেখানে জানানো হয়েছে, পুর-এলাকায় মোট জনসংখ্যার ক’জনের ডিজিটাল রেশন কার্ড রয়েছে, তাঁদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা কার কেমন, এই সমস্ত বিষয়ে সমীক্ষা করতে হলে ওই শিক্ষকদের৷ শিক্ষা বহির্ভূত কাজ রেশন কার্ডের সমীক্ষা নিয়ে শিক্ষক মহলের একাংশের আপত্তি না থাকলেও বর্তমান করোনা আহবে কীভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা সম্ভব? সরব শিক্ষকদের একাংশ৷
শিক্ষকদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে শিক্ষকদের একাংশ শুক্রবার পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান৷ অভিযোগ, তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেননি৷ পরে শিক্ষকদের একাংশ পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেন৷ পুরসভার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের ঘরের সামনেও জড়ো হন শিক্ষকদের একাংশ৷ তাঁদের অভিযোগ, এই কাজে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই৷ কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সমীক্ষা চালাতে গিয়ে কোনও শিক্ষক যদি আক্রান্ত হন, তাহলে তার দায় নেবে কে?
পুরসভার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শিক্ষকদের এই মুহূর্তে কোনও কাজ নেই৷ সরকারি কর্মচারীরা কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত৷ তাহলে শিক্ষকদের মাঠে নেমে কাজ করতে অসুবিধা কোথায়!