কলকাতা: রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান ছিল ‘বদলা নয়, বদল চাই’৷ কিন্তু ২০২১ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২১ –এর মঞ্চ থেকে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেই শোনা গেল ‘বদলা’ নেওয়ার ডাক৷ অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘বদলাও হবে, বদলও হবে৷’ তবে কি ২১-এর নির্বাচনে বদলার রাজনীতি দেখবে বাংলা?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র যে ভাবে আমাদের অসম্মান করছে, বঞ্চনা করছে, তার বদলা আমরা নেব৷ তবে এই বদলা আমরা মানবিকতাকে জয় করে নিতে চাই৷ এখন গায়ের জোড়ে সবকিছু চলছে৷ অনেকে কথা বলতে ভয় পায়৷ আমি আজকে কথাগুলো বলব, দেখবেন কাল থেকে হয়তো আমার ওপর আরও অত্যাচার বেড়ে গেল৷ তবে তাতে তাঁর পরোয়া নেই বলেই মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ তিনি বলেন, আমি ভয় পাই না৷ আমার বুথের কর্মীরা ভয় পান না৷ আমি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে জানি৷ ওরা চক্রান্ত করে আর কি করবে? মনে রাখবেন মৃত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর৷ আমি জেল, বন্দুকের গুলি এসবে ভয় পাই না৷ এইসব লড়াই করে এসেছি৷ মনে রাখবেন, ২১ মে বদলা নিয়ে বিজেপির জামানত জব্দ করে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, বাইরে থেকে এসে বাংলাকে কব্জা করা যায় না। বাংলা চালাবে বাংলার মানুষ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই একহাত নেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা৷ তিনি বলেন, ওনার পার্টি ভেঙে যাবে বলে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এটাই হচ্ছে ওদের ঔদ্ধত্য৷ ভয় পেয়েই এই সমস্ত কথা বলছে।
সম্প্রতি বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার টুইট করে বলেছিলেন, ‘‘বাংলায় বদলাও হবে, বদলও হবে।’’ বাংলার রাজনীতিতে বদলার প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষের এই টুইট নতুন করে বিতর্ক উস্কে দেয়৷ পরে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের কখনও মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনও মিথ্যে মামলায় তাদের ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে তাঁদের কর্মীদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে৷ বিজেপি এই সমস্ত ঘটনার বদলা নেবে৷ অন্যদিকে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে না৷ বিজেপি রাজ্য কমিটি হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি কমিটি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় ম্যান হল বিজেপি নেতারা।