পরের ২১ জুলাই আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না মমতা, বললেন দিলীপ ঘোষ

দিলীপ বললেন, ‘দিদি তো ২০১৯-এ (লোকসভা নির্বাচন) বলেছিলেন ৪২-এ ৪২টাই জিতবেন। আমি বলেছিলাম ১৯-এ হাফ আর ২১-এ সাফ। ১৯ সেটা করে দেখিয়েছি।

কলকাতা: অন্য বছরের মতো ‘শহিদ দিবস’ এ বছর পালন করতে পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলার মাঠে লক্ষ লক্ষ মানুষের জন সমাবেশ এবারে করা যায়নি অতিমারির প্রকোপে। ইন্টারনেট এবং টিভি সম্প্রচারের মাধ্যমেই কাজ সারতে হয়েছে শাসকদল তৃণমূলকে। এ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ঢঙে খানিক দুঃখপ্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এবার আর ‘সার্কাস’ দেখা গেল না সেটাই আফশোসের কারণ তাঁর।

আজ বিকেল পাঁচটা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ। সঙ্গে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারও। প্রথমেই দলে নতুন যোগ দেওয়া গায়িকা ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, ফুটবলার মেহতাব হোসেন এবং আরও কয়েকজনকে বিজেপির পতাকা দিয়ে স্বাগত জানান দিলীপ। এরপর শুরু করেন মমতার ভাষণের বিভিন্ন উক্তির ওপর কটাক্ষ এবং জবাব। মমতা আজ বলেছিলেন, আগামী ২১ জুলাই সবথেকে বড় জনসভা করবেন। তা নিয়ে দিলীপের দাবি, আগামী বছর ‘শহিদ দিবস’ সময় আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না মমতা। বিজেপি সভাপতির কথায়, ‘আমি বলে দিচ্ছি, আগামী বছর এই ভাষণ দিতে পারবেন না উনি। আমরা অবশ্য এই মিটিং করা থেকে আটকাব না। তবে ২১ জুলাই ২১ জনও ওঁর ভাষণ শুনতে আসবে না।’

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই সভা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, পাল্টা তৃণমূলের

 

তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেছেন, বাংলার লোকেরাই বাংলা শাসন করবে, গুজরাটের লোক করবে না। আগামী নির্বাচনে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বললেন, ‘দিদি তো ২০১৯-এ (লোকসভা নির্বাচন) বলেছিলেন ৪২-এ ৪২টাই জিতবেন। আমি বলেছিলাম ১৯-এ হাফ আর ২১-এ সাফ। ১৯ সেটা করে দেখিয়েছি।’ মমতা ঘোষণা করেছেন, ক্ষমতায় থাকলে চিরকালের জন্য বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করবেন। তা নিয়ে দিলীপ বাবুর কটাক্ষ, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মানুষই শুধু দু’টাকার চাল খায়। কারণ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে গরিব বানিয়ে রেখেছেন। রাজ্যের মানুষ ভিনরাজ্যে কাজের সন্ধানে যায়। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের ঘরছাড়া করেছেন মমতা, বলে অভিযোগ দিলীপের। 

আরও পড়ুন: অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা হয় না: মমতা

 

বিজেপি সভাপতির দাবি, নরেন্দ্র মোদীর পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে করে রাজ্যে ফিরিয়েছিলেন যাতে তাঁরা পরিবারের মুখ অন্তত দেখতে পায়। কিন্তু মমতা সেই ট্রেন ঢুকতে দেননি। এতটা নির্মম তিনি। ঢুকতে না দেওয়ার কারণ তাঁদের রেশন দিতে হবে, চাকরি দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে। ঢুকতে না দেওয়ায় হেঁটে হেঁটে ঢুকেছে শ্রমিকরা, মৃত্যু হয়েছে অনেকের, জানালেন দিলীপ। ‘ক’জন পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছে সেই খবর জানেন না, আবার বড় বড় কথা’- এমন শব্দেই মমতাকে আক্রমণ করে গেলেন দিলীপ ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 2 =