কিছু হলেই অবরোধ, যেন নিজের রাস্তা, বঙ্গ বিজেপিকে তোপ মমতার

২১ জুলাই শহিদ স্মরণ সভা থেকে একের পর এক তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় বারবার উঠে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নাম। অন্যান্য রাজ্যের মতো এই রাজ্যেও গেরুয়া শিবির গায়ের জোর দেখাচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, কিছু হলেই রাস্তা অবরোধ করছে তারা। যেন নিজের রাস্তা পেয়ে গেছে। এর ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি।

1c0c6f0af959299e89a8670404dd7685

 

কলকাতা: ২১ জুলাই শহিদ স্মরণ সভা থেকে একের পর এক তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় বারবার উঠে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নাম। অন্যান্য রাজ্যের মতো এই রাজ্যেও গেরুয়া শিবির গায়ের জোর দেখাচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, কিছু হলেই রাস্তা অবরোধ করছে তারা। যেন নিজের রাস্তা পেয়ে গেছে। এর ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি।

শহিদ স্মরণের ভার্চুয়াল কর্মসূচিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পরই কেন্দ্র তথা রাজ্য বিজেপি-র বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বঙ্গ বিজেপি-র বিভিন্ন কর্মসূচির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু হলেও রাস্তায় বসে পড়ছে। রাস্তা অবরোধ করছে। যেন নিজেদের তৈরি করা রাস্তা। দিল্লি যেন বানিয়ে দিয়ে গেছে। গায়ের জোর চলছে সর্বত্র।’ এর ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এমন আচরণ তিনি কোনওভাবেই বরদাস্ত করবেন না বলে জানিয়েছেন। আর গায়ের জোরে শাসন কায়েম করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি সাফ জানিয়েছেন, তিনি এসবে ভয় পান না। তাঁর কথায়, ‘আজ এই কথা বলার পর আমার বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা হবে। হোক। আমি ওসবে ভয় পাই না।… জেল, বন্দুক, গুলিতে আমি ভয় পাই না।’ বরং তাদের বিরুদ্ধে শক্তি নিয়েই উঠে দাঁড়াবেন তিনি। এদিন রাজ্যবাসীকে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

কেন্দ্র সরকারের একের পর এক পদক্ষেপও এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর নিশানায় ছিল। এনআরসি, এনপিআর-এর মতো বিষয়গুলিও উঠে এসেছে প্রসঙ্গক্রমে। এছাড়াও বিজেপি গোটা দেশ জুড়ে অন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে বলে মন্তব্য করেন। টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগও তোলেন। এই প্রসঙ্গেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি। করে দিন না এই আইন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *