কলকাতা: পাঁচ বছর আগে সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর আইকোর কাণ্ডে উঠে আসে তাঁর নাম। দু’বছর আগে সিবিআই গ্রেফতার করে তাঁকে। অবশেষে প্রায় দু’বছর পর তিনি জামিন পেলেন। জামিনের খবর তাঁর স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, গুরুতর অসুস্থতার কারণে এই মুহূর্তে ভুবনেশ্বরের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
বুধবার সন্ধেয় ফেসবুকে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী কস্তুরি চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ। সুমনের জামিন…।’ তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই সূত্রের দাবি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বুধবার শুনানি হয় মামলার। হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যা ও ফুসফুসে সংক্রমণের জেরে তাঁকে ভুবনেশ্বরের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কস্তুরি চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, নিম্ন আদালতের অনুমতি নিয়ে সুমনবাবুকে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেলে বসেই তিনি লিখেছিলেন কিছুদিন আগে। সেখানে ফুসফুসের গুরুতর সমস্যার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। এমনকী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তাঁর রক্তচাপ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সরকারি চিকিৎসকরাও, এমন কথাও তিনি সম্প্রতি জেলে বসে লিখেছেন।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সুমনবাবু লেখেন, ‘আমার ভ্রাতৃপ্রতিম ডাক্তার পার্থ ভট্টাচার্য নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে হিসেব কষে বলে দিয়েছে আমার ফুসফুস জোড়া নাকি ৫৬ শতাংশ অকেজো হয়ে বসে আছে, আর কিস্যু করা যাবে না।’ তাঁর শারীরিক অসুস্থতা যে গুরুতর, তা দেখা যায় ওই লেখাতেই। তিনি লিখেছেন, ‘বাকি রইল রক্তচাপ, মধুমেহ আর রিফ্লাক্স ইসোফেজাইটিস। নিজের মেডিকেল বুলেটিন আর দীর্ঘায়িত করবনা, শুধু এইটুকু বলব যে ২০১৮-র ২০ ডিসেম্বর সি বি আই আমাকে যখন আচম্বিতে গ্রেফতার করে তখন আমার রক্তচাপ ছিল ২২০/১৩০। ওদেরই ডেকে আনা সরকারি ডাক্তার ঘাবড়ে গিয়ে সোজা বলে দিয়েছিল অবিলম্বে আমার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন।’