উচ্চমাধ্যমিকে একই স্কুল থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়! তিন দৃষ্টিহীন পড়ুয়ার কৃতিত্বে উদ্বেল হলদিয়া

চৈতন্যপুর শিক্ষায়তনের ছাত্র সৈয়দ পারভেজ আলম এ বছর দৃষ্টিহীন বিভাগের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৬৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান পারভেজ দিনে আট ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেছে বলে জানা গেছে।

পূর্ব মেদিনীপুর: দৃষ্টিহীন বিভাগে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান ছিনিয়ে নিল পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া। একই স্কুল থেকে তিন ছাত্রের অভূতপূর্ব সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হলদিয়ার চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম আবাসিক দৃষ্টিহীন শিক্ষায়তন।

চৈতন্যপুর শিক্ষায়তনের ছাত্র সৈয়দ পারভেজ আলম এ বছর দৃষ্টিহীন বিভাগের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৬৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান পারভেজ দিনে আট ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেছে বলে জানা গেছে। তার সাফল্যে খুশি পরিবারের সকলেই। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশনেরই আরেক পড়ুয়া প্লাবন পাণ্ডা। প্লাবনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৬২। তার বাবাও দৃষ্টিহীন, হুগলি জেলায় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। মেধাবী ছেলের এই সাফল্যে খুশি সবাই। তৃতীয় স্থান দখল করেছে ওই স্কুলেরই সৌভিক পালুই। সে পেয়েছে ৪৫৮। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের যত্নসহকারে শিক্ষাদান তাদের এই সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে পারভেজ, প্লাবন ও সৌভিক তিনজনেই। 

আরও পড়ুন:জামিনে মুক্ত গুরুতর অসুস্থ সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়

একই স্কুল থেকে তিন ছাত্র রাজ্যের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করায় খুশির হাওয়ায় ভাসছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন দৃষ্টিহীন আশ্রমের পঠন পাঠনের মান খুবই উন্নত মানের তা এই ফলাফল থেকেই স্পষ্ট। 

আরও পড়ুন: এবার রাজ্যবাসীর ফ্ল্যাটের স্বপ্নপূরণ করবেন মমতা! ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প চালুর নির্দেশ

এই আবাসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস পাণ্ডা জানিয়েছেন, ‘এবছর দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের মোট ১৫ জন এ রাজ্যে পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে থেকে ১২ জন পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকে স্টার নম্বর পেয়েছে। তার মধ্যে, দৃষ্টিহীন বিভাগে রাজ্যের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান দখল করেছে আমাদের স্কুল থেকেই। এতে আমরা সকলেই খুব গর্বিত। এই তিন ছাত্রই খুব দরিদ্র পরিবারে  থেকে পড়াশোনা করে। ওদের মেধার উৎকর্ষ সকলকেই চমকে দিয়েছে। এটি আমাদের কাছে সত্যিই অত্যন্ত গর্বের এবং খুশির বিষয়।’ প্রথম স্থান অধিকারী পারভেজ জানায়, ‘প্রতি বছরই আমাদের স্কুল ভালো ফলাফল করে। এর পিছনে আমাদের স্যরদের কৃতিত্ব অনস্বীকার্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =