মাছি তাড়াচ্ছে বইপাড়া, বউনি ছাড়াই ফিরতে হচ্ছে দোকানিদের

আমফানের কারণে নষ্ট হয়েছিল অনেক বই। আমফান পরবর্তী দিনে দেখা গিয়েছিল রাস্তায় জলে ভেসে বেড়াচ্ছে বইপত্র। ভাইরাল হয়েছিল সে ছবি।

কলকাতা: ইতিমধ্যেই বেরিয়েছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল, কিন্তু তবুও স্কুলপাঠ্য বইয়ের সারণি এসে পৌঁছয়নি কলেজ স্ট্রিটের দোকানিদের কাছে। সারাদিন দোকান খুলে রাখার পরেও সন্ধ্যায় বিনা বউনিতেই ফিরতে হচ্ছে বই বিক্রেতাদের। মাথায় হাত পড়েছে বইপাড়ার।

আরও পড়ুন: বেতন বৈষম্যের সমাধান চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের

আমফানের কারণে নষ্ট হয়েছিল অনেক বই। আমফান পরবর্তী দিনে দেখা গিয়েছিল রাস্তায় জলে ভেসে বেড়াচ্ছে বইপত্র। ভাইরাল হয়েছিল সে ছবি। অনেক ছোট ছোট দোকান বা স্টল ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল সেদিন। বর্তমানে লকডাউন চলায় স্কুল কলেজ বন্ধ। কলেজ স্ট্রিটের দোকানগুলিতে কার্যত মাছি তাড়াবার পরিস্থিতি। বিনা রোজগারেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে দোকানিদের। তাঁদের দাবি, বর্তমানে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায়, অনলাইনে পড়াশুনা করানো হচ্ছে পড়ুয়াদের, ফলে সেখানেই তারা পেয়ে যাচ্ছে নোটসের সফ্ট কপি। তাই বই বিক্রির বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: যাদবপুরের আবাসন থেকে তরুণী পচা-গলা দেহ উদ্ধার

ইতিমধ্যেই, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, আইসিএসসি, আইএসই, সিবিএসই বোর্ডের পক্ষ থেকে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বারে এই সময় ফলাফল প্রকাশের পর পরই দোকানিদের কাছে এসে পড়ে এক গোছা বইয়ের লিস্ট। কিন্তু এবারে লকডাউনের ফলে সেই ব্যতিক্রমী দৃশ্য চোখে পড়ছে। ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই ফল প্রকাশের আগেই বই কিনে পড়াশোনা শুরু করে দেয়। সায়েন্স, আর্টস কিংবা কর্মাস যে কোনও বিষয়ের বইয়ের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু এবারে তা আর হচ্ছে না বলে দাবি বই বিক্রেতাদের। কলেজ স্ট্রিটের বই বিক্রেতা সৈফুদ্দিনের কথায়, ‘অন্যবারে এই সময় দম ফেলার সময় থাকে না, আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরাও দিনে মোটামুটি কুড়ি হাজার টাকার কাছাকাছি ব্যবসা করি। তবে এই বছর পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। দোকান এবং গোডাউন মিলিয়ে প্রায় দু’ লক্ষ টাকার বই পড়ে আছে, অথচ তা কেনার লোক নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 1 =