নবান্নের কোষাগারে সাইবার হানা রুখতে তীক্ষ্ণ হচ্ছে নজরদারি, আসছে নয়া প্রযুক্তি

এই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে রাজ্য কোষাগারকে বাইরের সাইবার হানা থেকে বাঁচানো যাবে বলে দাবি করল অর্থমন্ত্রক। তাদের মতে, এর ফলে কমবে গোপন তথ্য ফাঁস, হ্যাকিং কিংবা তথ্য বিকৃতির মতো সাইবার অপরাধ।

 

কলকাতা: সাইবার হানার হাত থেকে রাজ্যের কোষাগারকে বাঁচাতে নয়া উদ্যোগ নিল নবান্ন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ট্রেজারি, রেজিস্ট্রেশন, স্ট্যাম্প রেভিনিউ, আবগারি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অফিসগুলিকে একত্রিত করা হবে সুরক্ষিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই লক্ষ্যে ওই সমস্ত দফতরে লেবেল সুইচিং ও ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক চালুর নির্দেশ এল ওপর মহল থেকে।

এই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে রাজ্য কোষাগারকে বাইরের সাইবার হানা থেকে বাঁচানো যাবে বলে দাবি করল অর্থমন্ত্রক। তাদের মতে, এর ফলে কমবে গোপন তথ্য ফাঁস, হ্যাকিং কিংবা তথ্য বিকৃতির মতো সাইবার অপরাধ। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে কর আদায়কারী সরকারি অফিস আছে, সেখানকার সমস্ত লেনদেনে তথ্যপ্রমাণ সরাসরি চলে আসবে সল্টলেক স্টেট ডেটা সেন্টার বা রাজ্য তথ্য সংরক্ষণ কেন্দ্রে। লেনদেন এর সঙ্গে জড়িত তথ্য সঙ্গে সঙ্গে জেনে যাবেন নবান্নে বসে থাকা শীর্ষকর্তারা। রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা জানতে প্রশাসনিক কর্তাদের অন্য কোথাও যেতে হবে না।  
 

আরও পড়ুন: ‘বাংলা-জয় সহজ নয়’, মুকুলে বিরাগভাজন বিজেপি! বাংলায় ফিরে কী বার্তা গেরুয়া নেতার?

নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহরে অবস্থিত রেজিস্ট্রেশন, স্ট্যাম্প রেভিনিউ, আবগারি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পরিচালক কমিটির অধীনে ৫৮৯টি কেন্দ্রে এমপিএলএস – ভিপিএন তথা মাল্টি প্রোটোকল লেবেল সুইচিং- ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। রাজ্য অধীনস্থ ওয়েবেল সংস্থাকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছে তারা। অর্থ দফতরের এক আধিকারিকের মতে, যেহেতু সরকারি অর্থ পরিচালন ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি অনলাইন প্রযুক্তির ওপর নির্ভর তাই সাইবার হানার শিকার হলে পুরো অর্থ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের। বর্তমান ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় চিনা হ্যাকারদের দৌরাত্ম্যে মাথায় হাত পড়েছে প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: ২১-এর নির্বাচনে মেরুকরণ! NRC-র কথা তুলে নিজেই বুঝিয়ে দিলেন মমতা!

মাল্টি-প্রোটোকল সুইচিং লেবেল হল একটি সিঙ্গল লেবেল নেটওয়ার্ক। এই প্রযুক্তিতে ক্লোজড সার্কিট নেটওয়ার্কের সাহায্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয় ফলে হ্যাকিং কমে। তবে এর জন্য দরকার হয় একটি গেটওয়ে ব্যবস্থার। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তথা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যান্টি-হ্যাকিংয়ের অধিকর্তা সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘সাধারণ ইন্টারনেট কানেকশনের থেকে এমপিএলএল অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ এটা প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। তাই সাইবার অপরাধীরা এর নাগাল পায় না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =