অতিথি অধ্যাপকদের প্রতি বঞ্চনা! মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাদের গেস্ট লেকচারারদের আনুমানিক সংখ্যা ২০০। ডিগ্রি কলেজ এবং সরকারি বিএড কলেজের গেস্ট লেকচারারদের মতো এই ২০০ জনের স্থায়ীকরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

কলকাতা: অভাব অসুবিধা ছিল অনেকদিন ধরেই। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে লকডাউন চলতে থাকায় সমস্যা চরমে উঠেছে পিটিটিআই এবং ডিআইইটি-র গেস্ট লেকচারারদের। তাই অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। সমস্ত সমস্যা এবং আবেদন সম্বলিত একটি চিঠি ই-মেল করে পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। একই চিঠি গেছে রাজ্যের শ্রমবিভাগ এবং আইন বিভাগেও।   

আরও পড়ুন- ৩০০ টাকা কেজি লঙ্কা, বেগুন ৭০! অগ্নিমূল্য সবজি, খাবে কী জনতা?

 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্তর্গত প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিটিআই) এবং ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (ডিআইইটি) কর্মরত সকল গেস্ট লেকচারারদের তরফে পাঠানো চিঠি বেশ কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- ছুঁয়ে দেখল না কেউ! হাসপাতালের বাইরে স্ত্রীর কোলে স্বামীর মৃত্যু দেখল বনগাঁ

গণ-ইমেল পাঠিয়ে অতিথি অধ্যাপকদের তরফে জানানা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘোষিত স্টেট এডেড টিচার (এসএসিটি) বা বিকল্প কোনও সরকারি উদ্যোগের আওতায় তাদের সমস্ত সরকারি পিটিটিআই এবং সরকারি ডিয়াইইটি-র গেস্ট লেকচারার দের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাদের গেস্ট লেকচারারদের আনুমানিক সংখ্যা ২০০। ডিগ্রি কলেজ এবং সরকারি বিএড কলেজের গেস্ট লেকচারারদের মতো এই ২০০ জনের স্থায়ীকরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা PSC-র মাথায়! ‘অসাংবিধানিক’, প্রভাবিত হবে নিয়োগ?

তাঁদের দাবি, বর্তমানে রাজ্যের সরকারি পিটিটিআই-এর গেস্ট লেকচারাররা ক্লাস পিছু ২০০ টাকা এবং ডিআইইটি-র গেস্ট লেকচারাররা ক্লাস পিছু ৪০০ টাকা পেয়ে থাকেন। জানানো হয়েছে এই পারিশ্রমিক খুবই সামান্য এবং অনিয়মিত। কখনও কখনও সেই পারিশ্রমিক হাতে পেতে ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া সরকার ঘোষিত ছুটির মাসগুলোতে মাসিক আয় পুরোপুরি বন্ধ থাকে। তাই একটি সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর আওতায় এনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

আরও পড়ুন- কেন বাতিল হবে না পরীক্ষা? UGC-র মত চাইল সুপ্রিম কোর্ট, টুইট রাজ্যপালের

চিঠিতে বলা হয়েছে, গেস্ট লেকচারাররা কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা না পেলেও কলেজের স্থায়ী লেকচারারদের মতো সবধরনের কাজই তাদের করতে হয়। তাই সরকারি সুযোগ সুবিধার (ইপিএফ এবং স্বাস্থ্যসাথী) আওতায় সকল গেস্ট লেকচারারদের আনার অনুরোধ করা হয়েছে।  বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে গেস্ট লেকচারারদের মাসিক আয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর মানবিক আবেদন সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোনও যথার্থ ভূমিকা বা উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। লকডাউন পরিস্থিতিতে গেস্ট লেকচারারদের বকেয়া বেতনের বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + twenty =