নলহাটি: সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আমাদের সমাজে অবদান রেখে যান৷ গভীর ছাপ ফেলে যায় তাঁদের কাজ৷ আপদে বিপদে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান তাঁরা৷ এটাই তো মানবতার ধর্ম৷ যে ধর্ম অসহায়ের দিকে বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত৷ মানুষকে বেঁধে রাখে, আত্মীয়তায়, বন্ধুত্বে ও ভালোবাসায়৷ কোনও প্রতিকূলতাই এই মানুষগুলোকে দমিয়ে রাখতে পারে না৷ মানুষের স্বার্থে তাঁরা কাজ করে চলে অবিরাম৷ মানুষের স্বার্থে কাজ করা এমনই একজন মানুষ হলেন সুমি খাতুন৷
বীরভূমের নলহাটির লোহাপুর অঞ্চলের বাসিন্দা সুমি খাতুন পেশায় একজন ব্যাংক কর্মী৷ স্থানীয় এলাকার স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে কাজ করেন তিনি৷ তাঁর কাজের মাধ্যমে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছেন সুমি৷
সুমি যে অঞ্চলে কাজ করেন, তার আশেপাশের বেশ কিছু গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ এই পরিষেবা কেন্দ্রের গ্রাহক৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ঠিক মতো পরিষেবা গ্রহণ করতে পারছিলেন না তাঁরা৷ লকডাউনে এই গরিব মানুষগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে কথা ভেবে এগিয়ে আসেন এই ব্যাংক কর্মী৷ স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর আর্থিক কষ্ট দূর করতে সুমি নিজেই চলমান ব্যাংক হয়ে পৌঁছে যান গ্রামে গ্রামে৷
গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে আর্থিক লেনদেন সহ ব্যাংকিং পরিষেবার সুমস্ত সুবিধা প্রদান করছেন তিনি নিজে৷ তাঁর এই পদক্ষেপে উপকৃত হয়েছেন গ্রামের বহু মানুষ৷ নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দুঃসময়ে মানুষের পাশে থেকে তাঁদের জরুরি পরিষেবা প্রদান করে তিনি যে সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন, তাকে কুর্নিশ জানিয়েছে ক্যাডবেরি ডেইরিমিল্ক৷ তাদের কথায়, ‘এভাবেই মুষ্টি মুখে চলতে থাকুক পাশে থাকার পরম্পরা৷’ সুমি খাতুনের মতন মানুষরা চেনা ছক ভেঙে নিজেদের সামর্থের বাইরে গিয়েও হয়ে ওঠেন প্রকৃত বন্ধু৷ সমাজের প্রতি তাঁদের অবদান মনের মধ্যে ছাপ ফেলে যায়৷ এই সকল সজ্জনদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ক্যাডবেরি ডেয়ারিমিল্ক৷