কত কর্মসংস্থান হয়েছে বাংলায়? রাজ্যকে ‘গ্লোবাল বিজনেস’ খোঁচা রাজ্যপালের

কত কর্মসংস্থান হয়েছে বাংলায়? রাজ্যকে ‘গ্লোবাল বিজনেস’ খোঁচা রাজ্যপালের

3d60fd214df6fc47f0f3e8461ebd209f

কলকাতা: রাজ্যে বাড়ছে বেকারত্বের হার৷ কিন্তু জাতীয় গড়ের  তুলনায় রাজ্যে বেকারত্বের হার অনেক কম৷ এমন দাবি আগেই করেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ ২১ জুলাই দলীয় সমাবেশে তৃণমূল সুপ্রিমো দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান করেছে৷ রাজ্যে ৪০% বেকারত্ব কমছে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ কিন্তু বাস্তবে কর্মসংস্থানের হাল কী, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিদ্রোহ জারি রেখেন বাংলার কয়েক লক্ষ্য চাকরিপ্রার্থী৷ লকডাউন আবহে চলছে নিয়োগের দাবিতে তাঁদের ভার্চুয়াল প্রতিবাদ৷ এবার রাজ্যের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন খোদ রাজ্যপাল৷

আরও পড়ুন- একাধিক শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবে NIRDPR, শুরু আবেদন প্রক্রিয়া

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত কোটি কোটি টাকা খরচ করা গ্লোবাল বিজনেস সামিট করে কী লাভ হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান৷ টুইটারে রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে টুইটার রাজ্যপাল শিল্পে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গ তুলেছেন৷ আজ টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘একাধিক মউ সই হয়েছে৷ গ্লোবাল বিজনেস সামিট বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে অনেক৷ কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে কত টাকা বিনিয়োগ এসেছে? বাংলায় কতজনের কর্মসংস্থান হয়েছে?’’

আরও পড়ুন- ৪,১৮২টি শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ করবে ONGC, সত্ত্বর আবেদন করুন

এর আগে ২১ জুলাই তৃণমূলের ভার্চুয়াল জনসমাবেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে৷ দেশে যখন বেকারত্বের হার বাড়ছে, তখন বাংলায় বেকারত্ব ৪০% কমে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ জানিয়েছিলেন, এই বছর রাজ্যের সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা ছিল৷ কিন্তু করো না পরিস্থিতি জেরে সেই কাজে প্রভাব পড়েছে৷ আগামী দিনে কীভাবে নিয়োগ করা যায় তা, নিয়ে রূপরেখা তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আরও পড়ুন- রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

তৃণমূল সুপ্রিমোর ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থানের দাবি প্রসঙ্গে বিরোধী শিবির থেকেও তোলা হয়েছিল প্রশ্ন৷ রাজ্যের কংর্মসংস্থান নিয়ে বিধানসভায় দেওয়া তথ্য ও ২১ জুলাই সভা থেকে করা দাবির বিস্তার পার্থক্য রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী৷ রাজ্যের কর্মসংস্থান ইস্যুতে বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে টুইটে অস্বস্তি বাড়ালেন রাজ্যপাল৷ রাজ্যপালের প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *