কলকাতা: বিজিটিএ-র করা কন্টেম্পট মামলায় বড় সাফল্য পেলেন গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা। দু’দশক ধরে চলে আসা বেতন ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ে করে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷ আজ হাইকোর্টে ছিল টিজিটি স্কেল প্রদান মামলার শুনানি৷ শিক্ষক সংগঠনের দাবি, গত ২০২০ সালের ২ মার্চ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৪ দিনের মধ্যে পে কমিশনকে হলফনামা-সহ কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷
আরও পড়ুন: ফের অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে পুলিশি হানা, সার্চ ওয়ারেন্ট না থাকার অভিযোগ সাংসদের
২০১৯-এর ২২ জুলাই বিজিটিএ-র করা মূল মামলায় হাইকোর্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বঞ্চনা মিটিয়ে সর্বভারতীয় বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন কাঠামো তৈরির নির্দেশ দেন। অভিযোগ, ওই রায়কে উপেক্ষা করে সরকার পে কমিশন ঘোষণা করে৷ যেখানে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বঞ্চিত করে রাখা হয় বলে অভিযোগ৷ পাল্টা বিজিটিএ-র তরফে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার শিকার হয়ে সরকার পক্ষ সময় চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে৷ এখানেও বিজিটিএ-র ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালে বেলাগাম করোনা চিকিৎসার বিল, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
অতিমারির আবহে আদালত বন্ধ থাকায় এতদিন শুনানি সম্ভব ছিল না। কিন্তু মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে হাইকোর্ট ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানির জন্য এই মামলা নির্বাচন করেন। আজ সেই শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১৪ দিনের মধ্যেই এফিডেভিট সহ কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা করতে হবে৷ এর জন্য আর কোনও রকম সময় দেওয়া হবে না বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল আদালত৷
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর জল প্রকল্পে ছাড়পত্র কেন্দ্রের, ২ কোটি পরিবারে পৌঁছবে পরিস্রুত জল
আদালতের এদিনের নির্দেশে খুশি গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা। বিজিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালতের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। টিজিটি স্কেল আমাদের আইন স্বীকৃত অধিকার। জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সরকারের উচিত দ্রুত রিপোর্ট পেশ করে তা বাস্তবায়িত করা।’ বিজিটিএ-র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল জানান, ‘সরকার যদি এই রায়কে মান্যতা না দেয় তাহলে আমরা আমরণ অনশন করেও আমাদের অধিকার অর্জন করব।’