রাজ্যে প্রবীণদের দেখভালের জন্য খোলা হবে হেল্পলাইন, বার্তা মমতার

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কলকাতা, রাজারহাট, সল্টলেক, হাওড়া ও সংলগ্ন অঞ্চলে যেখানে যেখানে করোনার প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে, সেখানে কতজন প্রবীণ একা থাকেন, তার সমীক্ষা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভারকে এই সমীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছেন।

কলকাতা: কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের প্রবীণদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে শহরের একাধিক আবাসনের প্রবীণ নাগরিকরা একা হয়ে পড়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য সাহায্যকারীরা আসতে পারছেন না। তাই সেই সমস্ত প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবে নতুন হেল্পলাইন চালু করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

অনেক আবাসনেই প্রবীণ নাগরিকরা একা কিংবা স্বামী-স্ত্রী থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের সন্তানরা কর্মক্ষেত্রে দূরে থাকেন। কারও আবার সন্তানই নেই। সেক্ষেত্রে তাদের দেখভালের দায়িত্ব থাকে আবাসনের কমিটির ওপর। কিন্তু বর্তমানে কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে সেই সমস্ত কমিটির সদস্যদের পাওয়া যাচ্ছে না, বা পাওয়া গেলেও আগের মতো সাহায্য করতে পারছে না। তাই বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করেছেন প্রবীণদের জন্য নতুন হেল্পলাইন খোলা হবে। 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কলকাতা, রাজারহাট, সল্টলেক, হাওড়া ও সংলগ্ন অঞ্চলে যেখানে যেখানে করোনার প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে, সেখানে কতজন প্রবীণ একা থাকেন, তার সমীক্ষা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভারকে এই সমীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছেন। সার্বিক দায়িত্বে রাখা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মাকেও এই কাজে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সমীক্ষার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে লাগাতেও মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, আবাসনগুলিতে যে কমিটি আছে তাদেরকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে প্রবীণদের দেখভালের জন্য। কোনওরকম সমস্যা হলে তারাই হেল্পলাইনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। 

প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন পরিষেবার জন্য আলাদা নম্বর করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে পুলিশের কাছে খবর গেলে তারা খাবার, ওষুধ ইত্যাদি পৌঁছে দিচ্ছে, কিন্তু অনেক প্রবীণদেরই পুলিশকে খবর দেওয়ার মতো সক্ষমতাটুকুও থাকে না। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পাড়ার এক প্রবীণের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন, তাঁর কন্যা বাইরে থাকেন। ফিরে এসে তার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। ওই প্রবীণকে সাহায্য করেছিলেন কালীঘাট থানার ওসি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করেছেন।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + six =